বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, পাকিস্তানের পর এবার আফগানিস্তানের শিকার হলো শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা পুনেতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৪১ রানে অলআউট হয় । আফগানিস্তান সেই রান তাড়া করতে নেমে ৪৫.২ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় । এই জয়ে সেমিফাইনালের দৌড়ে ভালোভাবে টিকে রইলো নবী-রশিদরা।
এই প্রথম কোনো বিশ্বকাপে আফগানিস্তান একাধিক জয় পেলো। এর আগে ২০১৫ সালে ১টি জয় পেয়েছিল। ২০১৯ বিশ্বকাপে একটি ম্যাচেও জয় পায়নি তারা। অন্যদিকে বাজে রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ৪৩টি ম্যাচ হারের রেকর্ড গড়লো দলটি। এক ম্যাচ কমে তাদের পরে আছে জিম্বাবুয়ে।
শ্রীলঙ্কাকে আড়াই’শ-এর আগে থামিয়ে বোলাররা কাজটা সহজ করে দিয়েছে। শুরুতে রহমানুল্লাহ গুরবাজ ফিরলেও আফগানদের জয়ে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি লঙ্কান বোলাররা। রহমত শাহ-ইব্রাহিম জাদরান ভিত গড়ে দেন। দুজনের জুটি থেকে আসে ৭৩ রান। ইব্রাহিম ৩৯ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
ইব্রাহিম ফেরার পর হাশমতুল্লাহকে নিয়ে এগোতে থাকেন রহমত। ফিফটির পর অবশ্য বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ৬২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপরই শুরু হয় হাশমত-আজমতের লড়াই। দুজনে ১১১ রানের অপরাজিত জুটিতে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। আজমত ৭৩ ও হাশমত ৫৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। লঙ্কানদের হয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন দিলশান মাদুশংকা।
এর আগে বড় রানের সম্ভাবনা জাগিয়ে হঠাৎ করে ছন্দ হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। মাত্র ১৮ রানে ৩ উইকেট হারালে জাগে ২০০ রানের আগেই অলআউটের শঙ্কা। অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুস-মহেশ থিকশানার দৃঢ়তায় রক্ষা পায় দ্বীপরাষ্ট্রটি। শেষ পর্যন্ত আড়াই’শ-এর কাছে গিয়ে থামে তারা।
ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে দিমুথ করুণারত্নের (১৫) উইকেট হারিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন পাথুম নিসাঙ্কা। টানা পঞ্চম ফিফটির পথে থাকা নিসাঙ্কা ৪৬ রানে ফিরলে ভাঙে ৬২ রানের জুটি।
এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। তবে ধাক্কা খায় মাঝে মাত্র ১৮ রানে তিন সেট ব্যাটার আউট হওয়ায়। কুশল মেন্ডিস ৩৯, সাদিরা সামারাবিক্রমা ৩৬ রান করেন। শেষ দিকে ম্যাথুস ২৩ ও মহেশ থিকশানা ২৯ রান করে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েন।
ফজল হক ফারুকি একাই নেন ৪ উইকেট। তার হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। এ ছাড়া সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন মুজিব উর রহমান। ১টি করে উইকেট নেন আজতুল্লাহ ওমরজাই ও রশিদ খান।