সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি রুপি মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশিটে জ্যাকলিনের নাম রয়েছে। কয়েক দিন আগে এ মামলায় জামিন পান তিনি। অসুস্থ মাকে দেখতে বাহরাইনে যেতে আদালতের কাছে আবেদন করেন জ্যাকলিন। কিন্তু আদালতএনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির আপত্তির মুখে এই আবেদন নাকচ করে দেন ।
হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, বৃহস্পতিবার এ মামলার দিল্লির একটি আদালতে শুনানি হয়। আদালতে শুনানি চলাকালীন জ্যাকলিনের আইনজীবী আদালতকে জানান, অভিনেত্রীর মা ২০২১ সালের ডিসেম্বরে স্ট্রোক করেন এবং তারপর থেকে গুরুতর অসুস্থ তিনি। মানবিকতার খাতিরে জ্যাকলিনের বাহরাইন ভ্রমণের আবেদন মঞ্জুর করা হোক। এ আবেদনের বিরোধিতা করে ইডি।
এসময় অতিরিক্ত দায়রা জজ শৈলেন্দ্র মালিক বলেন— ‘আমি বুঝতে পারছি আপনি আপনার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান। আমরা বাবা-মায়ের প্রতি খুব আবেগপ্রবণ। কিন্তু মামলা এখন খুবই গুরুতর পর্যায়ে রয়েছে।’
বিচারকের এ বক্তেব্যের পর জ্যাকলিনের আইনজীবী আদালতকে জানান, এ মামলার পরবর্তী শুনানি ৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে এবং জ্যাকলিন যেকোনো মূল্যে ৫ জানুয়ারির মধ্যে ভারতে ফিরে আসবেন। পাশাপাশি জ্যাকলিন এই মামলার ১০ নম্বর আসামি। ৬ জানুয়ারি সুকেশ চন্দ্রশেখরকে কাঠগড়ায় তোলা হবে, জ্যাকলিনের নম্বর আসতে সময় লাগবে।
জ্যাকলিনকে২০০ কোটি রুপি মানি লন্ডারিং মামলার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা একাধিকবার তলব করে । এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ— প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে লাভবান হয়েছেন এই নায়িকা। প্রায় ১০ কোটি রুপি আত্মসাৎ করেছেন তিনি। যদিও এর মধ্যে থেকে ৭ কোটি রুপির সম্পদ ইতোমধ্যে বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।
জ্যাকলিন অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘বিক্রান্ত রোনা’। এছাড়া ‘সার্কাস’, ‘রামসেতু’ সিনেমাগুলো তার ঝুলিতে রয়েছে।
হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ়ের মা কিম ফার্নান্ডেজ়কে। বাহরাইনে থাকেন কিম ও তাঁর স্বামী এলরয়। সোমবার স্ট্রোক হওয়ায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানকার এক হাসপাতালে। জ্যাকলিন এ দেশ থেকে নিয়মিত খবর নিচ্ছেন মায়ের। ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন সেখানকার আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে। এই মুহূর্তে অভিনেত্রীর বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
