বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চালু হতে যাচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম নৌবিহার ‘গঙ্গা বিলাস’। আগামী ১৩ জানুয়ারি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রায় চার হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এ ভ্রমণপথের উদ্বোধন করবেন। সোমবার উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবরটি জানায় দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানায় গঙ্গা বিলাস নামের প্রমোদতরীটি গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র এবং বঙ্গোপসাগরের মধ্য দিয়ে উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে আসামের ডিব্রুগড় পর্যন্ত যাবে। ৩২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে এটি এবং এতে সময় লাগবে ৫০ দিন। এর মধ্যে বাংলাদেশে কাটবে ১৫ দিন।
সফরকারীরা শুধু নৌযানেই থাকবেন তা কিন্তু নয়। সুন্দরবন, ষাট গম্বুজ মসজিদ, সোনারগাঁ, ভারতের কাজিরাঙ্গা জাতীয় পার্কসহ ৫০টির বেশি ঐতিহ্যবাহী স্থান দেখারও সুযোগ পাবেন তারা।
সফরকালে বিলাসবহুল প্রমোদতরীতে ভ্রমণকারীদের আরাম-আয়েসের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা রাখা রয়েছে। জিম, স্পা, উন্মুক্ত ডেকসহ থাকবে গান-বাজনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সুবিধাও।
গঙ্গা বিলাস প্রমোদতরীতে একসঙ্গে ৮০ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন। তাদের রাতযাপনের জন্য থাকছে ১৮টি বিলাসবহুল স্যুট।
গেল নভেম্বরে ভারতের বন্দর, নৌপরিবহন ও জলপথ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এক টুইটে জানান, আগামী বছরের জানুয়ারিতে যাত্রা শুরু করবে বিশ্বের দীর্ঘতম নৌবিহার।
বারাণসী-ডিব্রুগড় রুটে এই প্রমোদতরীটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে চালানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ জলপথ অথরিটি অব ইন্ডিয়া (আইডব্লিউএআই) এই উদ্যোগটির জন্য ইতোমধ্যেই অন্তরা লাক্সারি রিভার ক্রুজ এবং জেএম বাক্সি রিভার ক্রুজের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
গঙ্গা বিলাস প্রমোদতরীর টিকিটের মূল্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়াই অপারেটররা নির্ধারণ করবে বলে লাইভমিন্টের রিপোর্টে বলা হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল জানান ‘বিলাসবহুল এই প্রমোদতরীর পরিষেবাটি সকল ধরনের পর্যটকদের সুবিধা দেবে। এছাড়া ভারতীয় ভেসেল অ্যাক্টের সংশোধনের কারণে এই প্রমোদতরীগুলো এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য জাতীয়ভাবে অনুমতি পাবে।’
গঙ্গা বিলাস নৌবিহার উত্তর প্রদেশের বারাণসী থেকে যাত্রা শুরু করে বুক্সার, রামনগর ও গাজিপুর হয়ে অষ্টম দিনে পাটনা পৌঁছাবে। সেখান থেকে নৌযানটি কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে এবং ফারাক্কা-মুর্শিদাবাদ হয়ে ২০তম দিনে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীতে পৌঁছাবে। পরের দিন সেটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে। পরবর্তী ১৫ দিন প্রমোদতরীটি বাংলাদেশের জলসীমায় থাকবে। এরপর গুয়াহাটি দিয়ে সেটি আবারও ভারতে ঢুকবে এবং শিবসাগর হয়ে ডিব্রুগড়ে শেষ গন্তব্যে পৌঁছাবে। ভারত-বাংলাদেশ প্রোটোকল রুটের অধীনে বাংলাদেশে চলাচল করবে এই প্রমোদতরী
মাহফুজা ৪-১