পঞ্চগড়ে ৪ দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। একইসঙ্গে জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈতপ্রবাহ। কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
সোমবার সকাল ৯ টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
রোববার সকাল ৯ টার দিকে এখানে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। সকাল ১০টার পর সূর্য উঁকি দিলেও রোদের উত্তাপ না ছড়াতে পারায় অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত।
শুক্রবার ও শনিবার তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে বেশ কয়েক দিন ধরেই পঞ্চগড়ের তাপমাত্রার পারদ নেমে যাচ্ছিল। চারদিক ঢেকে যায় ঘন কুয়াশায়। অনুভূত হতে শুরু করে হাড়কাঁপানো শীত। রাতের বেলা বৃষ্টির মতো টিপটিপ ঝরতে থাকে কুয়াশা।
এদিকে, তাপমাত্রার অবনতি আর হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু অবস্থা নিম্ন আয়ের মানুষের। দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবীদের। রাত থেকে সকাল অবধি ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে পথঘাট। বিপাকে যানবাহন চালকরাও। তাদেরকে সকালের দিকেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, এ জেলার উপর দিয়ে ৪ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রার আরও অবনতি হয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, কোনো এলাকার তাপমাত্রা যদি ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে টানা তিন দিন অবস্থান করে, তাহলে ওই এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এবার পৌষের শুরু থেকেই উত্তরে শীত জেঁকে বসতে শুরু করলেও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়নি। চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে।
মাহফুজা ২-১