রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মারা গেছেন দুই জন। এ ঘটনায় আহত হন অনেকে। এতে ধ্বংস হয়েছে বহু বাড়িঘর এবয় দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিপর্যয়।
৫ ডিসেম্বর এসব তথ্য জানায় ইউক্রেনের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রয়টার্স ও আল জাজিরা ।
খবরে বলা হয়, রাশিয়ার ব হামলায় ইউক্রেনের ওডেসার জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান আঞ্চলিক গভর্নর মাকসিম মারশেঙ্কো। বেসামরিক নাগরিকদের বাড়িঘরের ওপরও ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানছে বলে জানান গভর্নর ।
বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ওডেসার বেশিরভাগ এলাকাতেই বলেও জানান মারশেঙ্কো।
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই গুলি করে ভূপাতিত করেছে আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং জ্বালানি সরবরাহ পুনরায় সচল করার কাজ চলছে ।
লন্ডন-ভিত্তিক ইন্টারনেট সংযোগ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা নেটব্লকস বলেছে, রাশিয়ার হামলার কারণে ইউক্রেনের একাধিক অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ বর্তমানে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, রুশ হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেনের রাজধানীর বিশাল আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রোতে ভিড় করছে মানুষ। এ সময় পুরুষ, নারী এবং শিশুদের গরমের টুপি, মোটা কোট এবং হুড পরে বিষণ্ণভাবে বসে থাকতে দেখা গেছে। কিয়েভের তাপমাত্রা প্রায় মাইনাস ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (২৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট) নেমেছে।
যুদ্ধক্ষেত্রে বিপর্যয়ের মুখোমুখি হওয়ায় রাশিয়ান সৈন্যরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রমবর্ধমানভাবে ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। যে কারণে শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখোমুখি হয়েছেন ইউক্রেনীয়রা। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে প্রতিবেশী মলদোভায়ও বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে বলে জানিয়েছে দেশটির বিদ্যুৎ কোম্পানি মোল্ডইলেক্ট্রিকা।
মাহফুজা ৬-১২