কুষ্টিয়া জেলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক রোকসানা খানম কে নিজ ঘরে হত্যা করা হয়েছে। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
সোমবার সকাল ১১টায় কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ শয়ন কক্ষ থেকে শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করে । তিনি কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং স্টেটে ডি ব্লকের ২৮৫ নং বাসার দ্বিতীয় তলায় থাকতেন। স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান যশোর চৌগাছার এলজিইডি অফিসের হিসাবরক্ষক হিসাবে কর্মরত থাকায় তিনি যশোর থাকেন।
নিহত রোকসানার স্বামী জানান, ১৯৯৭ সালে তাদের বিয়ে হয় তবে তাদের কোন সন্তান নেই। তাদের মধ্যে পারিবারিক কোন কলোহ কিংবা মনোমালিন্য ছিলো না।
তিনি বলেন, চাকরি কারণে রোকসানা কুষ্টিয়ায় এবং আমি যশোর থাকি। রাতে সে জানায় যে সকালে বিদ্যালয়ের কাজে যশোর শিক্ষা বোর্ডে যাবে। সকালে ফোন দিলে সে ফোন রিসিভ করেনি। পরে ভাতিজা নিশাত আমাকে ফোন দিয়ে বলে ফুপুর রুম ভেতর থেকে আটকানো । ডাকলেও কোন সাড়া না পাওয়ায় তারা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে দেখে রোকসানা বিছানার উপরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ঘরের মেঝেতেও রক্ত ছিলো। তিনি বলেন, ঐ বাসার ৬য় তলায় থাকেন রোকসানার ভাইয়ের পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে আমি কুষ্টিয়া এসেছি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল জানান, সকালে স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। কি কারণে এ হত্যাকাণ্ড সেটা এখনো জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে, ধারালো কোন অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে তাকে।
তিনি আরো জানান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য জেলা পুলিশের পাশাপাশি সাইবার ইউনিট শাখা, গোয়েন্দা পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই কাজ করছে। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
মাহফুজা ৭-১১