ইরানে পুলিশি হেফাজতে মাহসা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চলছে বিক্ষোভ । বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৭৬ জন । আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র তেহরান যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের বিরুদ্ধেঅভিযোগ করছে বিক্ষোভ উসকে দেয়ার । সোমবার এমন অভিযোগ করে ইরানের কর্তৃপক্ষ।
ইরান অভিযোগ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি এক বিবৃতিতে জানান, ওয়াশিংটন সব সময় ইরানের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে দুর্বল করার চেষ্টা করে যদিও তাতে বার বার ব্যর্থ হয়।
নৈতিকতাবিষয়ক পুলিশের একটি দল ১৩ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনিকে আটক করেতেহরান থেকে। আটকের পর মাহসা আমিনি থানায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। এ ঘটনায় ব্যাপক নিন্দার ঝড় বইছে সারা বিশ্বে।
ইরানের রাস্তায় বিক্ষোভে নামে তরুণ তরুণীসহ বহু মানুষ। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নারীদের কেউ কেউ মাথার হিজাব খুলে পুড়িয়ে ফেলেন। বিক্ষোভ থেকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আল খামেনিরও পদত্যাগ দাবি করা হয়।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ‘আমরা ইরানকে বারবার মানবাধিকার উপেক্ষা করতে দেখেছি, এখন মাহসা আমিনির মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন দেখছি’। সোমবার, জার্মানি বার্লিনে ইরানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তেহরানকে দমন-পীড়ন বন্ধ এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে, রোববার ইরানে নিযুক্ত যুক্তরাজ্য ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে তেহরান। ইরানজুড়ে যে বিক্ষোভ চলছে, তাতে উসকানির অভিযোগে দেশ দুটির দূতকে তলব করা হয়।
মাহফুজা ২৭