এশিয়াকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগান্তিানের বিপক্ষে ১২৭ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুজিব উর রহমানের করা দ্বিতীয় ওভারের ষষ্ঠ বলে বোল্ড হন নাঈম শেখ। ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে বল গিয়ে লেগ স্ট্যাম্পে আঘাত করে। ৮ বলে ১ চারে ৬ রান করে যান নাঈম।
নাঈমের পর ফিরলেন এনামুল হক বিজয়ও। দলীয় ১৩ রানের মাথায় মুজিবের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে পুল-সুইপ করতে গিয়ে মিস করেন এনামুল। বল গিয়ে তার পায়ে আঘাত করে। আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি। রিভিউ নিয়ে আফগানিস্তান উইকেট পায়। রিপ্লেতে দেখা যায় বল লেগ স্ট্যাম্পে আঘাত করেছে। ১৪ বল খেলে ৫ রান করেন এনামুল।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর আক্রমণে আসেন রশিদ। তার দ্বিতীয় বলেই আউট হন মুশফিক। রশিদের গুগলিতে পরাস্ত হন মুশফিক। বল গিয়ে তার প্যাডে আঘাত হানে। আম্পায়ার প্রথম আউট দেননি। পরে রিভিউ নিয়ে দেখা যায় বল লেগ স্ট্যাম্প হিট করছিল। ৪ বলে ১ রান করে ফিরেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
চার উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছিলেন আফিফ হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ। ২৫ বলে ২৫ রান তুলেছিলেন তারা। কিন্তু একাদশতম ওভারে রশিদ খান এসে আফিফকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন। রশিদের গুগলিতে পরাস্ত হন আফিফ। আম্পায়ার আউট দেন, আফিফ রিভিউ নেন। কিন্তু বল রিভিউতে দেখা যায় বল স্ট্যাম্পে আঘাত করছে। ১৫ বল খেলে ১২ রান করে যান আফিফ।
৫৩ রানেই ৫ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহকে টেনে নিতে থাকেন মোসাদ্দেক ও মাহমুদউল্লাহ। ষষ্ঠ উইকেটে তারা দুজন ৩১ বলে ৩৬ রান তোলেন। কিন্তু রশিদ খান এসে মাহমুদউল্লাহকে আউট করে ভাঙেন এই জুটি। রশিদের বলে স্লগ সুইপ খেলার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ। এজ হয়ে বল উপরে উঠে যায়। ডিপ মিডউইকেট থেকে দৌড়ে এসে ডাইভ দিয়ে বল তালুবন্দি করেন। ২৭ বলে ১ চারে ২৫ রান করে যান অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রশিদ খান।
বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ দলকে টেনে তোলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মাহমুদউল্লাহ’র সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ৩৬ রান তোলেন। এরপর আফিফকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে ২৪ বলে ৩৮ রান তোলেন। শেষ ওভারে রান আউট হন তিনি।