৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    ভোলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল করে হরতাল পালন করছে

    বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) ভোর থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল করে হরতাল পালন করছে। ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতিসহ ২ জন নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। হরতাল পালনে ভোলা সদর রোডের কালীনাথ বাজার এলাকায় দলীয় কর্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে নেতাকর্মীরা। সকাল থেকেই রিকশা,অটোরিকশা চলাচল করলেও অন্যান্য যানবাহন বন্ধ রয়েছে।তবে পুলিশের দাবি, শহরের পরিস্থিতি অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক রয়েছে।

    জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম ও ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমের হত্যার প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ আমাদের হরতালে সমর্থন দিয়েছে। তারা যানবাহন-দোকানপাট বন্ধ রেখেছে। ভোলায় সফলভাবে হরতাল পালিত হচ্ছে। তিনি জানান, সড়ক পথে নূরে আলমের মরদেহ ভোলায় এসে পৌঁছাতে দুপুর হয়ে যাবে। দ্বিতীয় জানাজার পর ধারণা করা হচ্ছে, বিকেল ৫টা নাগাদ দাফন সম্পন্ন হবে তার।

    সরেজমিনে দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের চেয়ে জেলায় তুলনামূলক কম যানবাহন চলাচল করছে। সকাল ৯টায়ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সড়কে মানুষের চলাচল কম। সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া টহল গাড়িতেও পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। লঞ্চ ও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। হরতালকে কেন্দ্র করে এখনো কোথাও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।

    ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, শহরের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি দাবি করেন, হরতালে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি শহরে। মানুষ স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে। ভোর হওয়ায় দোকানপাট এখনো খোলার সময় আসেনি। যানবাহন স্বভাবিকভাবেই চলাচল করছে।

    ভোলা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আলী সুজা জানান, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট প্রস্তুত রয়েছেন।

    প্রসঙ্গত, ৩১ জুলাই দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলা জেলা বিএনপির আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশের পরে বিক্ষোভ মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংর্ঘষ হয়। এতে পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে ৩০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ১৬৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে। এতে ওই দিনই স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত হন। গুরুতর আহত হন বেশ কয়েকজন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলমকে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (০৩ আগস্ট) মারা যান তিনি।

    এদিকে সংঘর্ষে বিএনপির ৩৭৫ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে দুটি মামলা করে ভোলা সদর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক জসীম। মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা বিএনপির আহ্বানে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে।

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর