পেশাদারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ হামলার শিকার হয়ে প্রাণ হারান। এ নিয়ে চলছে তদন্ত।
সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ যে বুলেটের আঘাতে নিহত হন, তদন্তকারীরা পৌঁছাতে পারেননি তার সুস্পষ্ট উপসংহারে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলেছে, ‘ব্যালিস্টিক বিশেষজ্ঞরা চিহ্নিত করেছেন যে বুলেটটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আরও বলছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর গুলিতে সম্ভবত মৃত্যু হয়েছে তার । আলোচিত ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ৪ জুলাই সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায় এ তথ্য ।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ সেই ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে এবং বলা হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে সাংবাদিক শিরিনকে গুলি করেন ইসরায়েলি সেনারা এবং এতেই তার মৃত্যু হয়।
গত ১১ মে দেশটির সেনারা অভিযান চালায় ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে । সংবাদ সংগ্রহের জন্য ৫১ বছর বয়সী শিরিন আবু আকলেহ সেখানে ছিলেন । ইসরায়েলের এক সেনা মাথায় গুলি করলে শিরিন আবু আকলেহ প্রাণ হারান অভিযোগ, প্রত্যক্ষদর্শী ও তার সহকর্মীদের ।
গোটা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল সাংবাদিক শিরিনের হত্যাকাণ্ড । এমনকি ইসরায়েলি বাহিনী তার কফিন বহন করা ফিলিস্তিনিদের ওপরেই হামলা চালায় । বিভিন্ন দেশের প্রধানরা কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় ইসরায়েলের এমন হিংস্র আচরণের বিরুদ্ধে এবং দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে বিচারের দাবি জানান।
১৯৭১ সালে জেরুজালেমে জন্মগ্রহণ করেন এই খ্যাতিমান সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ। ছিলেন একজন খ্রিষ্টান ও মার্কিন নাগরিক। জর্ডানের ইয়ারমুক ইউনিভার্সিটিতে পড়েন পেশাদারি সাংবাদিকতায় । ফিলিস্তিনে, স্নাতক শেষ করে ফিরে আসেন ও কাজ করেন কিছু গণমাধ্যমে। আল-জাজিরার যাত্রা শুরুর এক বছর পর তিনি এখানে কাজে যোগ দেন।
মাহফুজা ৫-৭