উজবেকিস্তানে গেল সপ্তাহের বিক্ষোভ সংঘাতে কমপক্ষে ১৮ জন মারা গেছেন । আহত হন ২৪৩ জন এ তথ্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। গেল ২০ বছরে দেশটিতে এমন বিক্ষোভ দেখা যায়নি। কারাকালপাকস্তান অঞ্চলের মর্যাদা পরিবর্তন করে সংবিধান সংশোধনের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়।
কারাকালপাকস্তানে একমাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বিক্ষোভ-সংঘাতের সময় নুকুস এলাকায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা রিয়া নোভাস্তি নিশ্চিত করেছে। গেল শুক্রবার বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে ৫১৬ জনকে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু পরে তাদের অনেককেই মুক্তি দেয়া হয়।
উজবেকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত কারাকালপাকস্তান। সেখানকার বাসিন্দারা কারাকালপাকদের স্বতন্ত্র জাতিগত নিজস্ব ভাষা রয়েছে। উজবেকিস্তানের বর্তমান সংবিধানে আখ্যায়িত করা হয়েছে অঞ্চলটিকে উজবেকিস্তানের অভ্যন্তরীণ একটি সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র হিসেবে ।
সংবিধানের সংশোধিত সংস্করণে কারাকালপাকস্তানকে আর সার্বভৌম হিসেবে বিবেচনা করা হবে না বা তাদের আলাদা হয়ে যাওয়ার অধিকার থাকবে না। উজবেকিস্তান আগামী মাসগুলোতে ওই সংশোধিত সংবিধানের বিষয়ে একটি গণভোটের পরিকল্পনা করছে । সাধারণ মানুষ এর জেরে বিক্ষোভ শুরু করেছেন ।
প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিয়োইয়েভকে কারাকালপাকস্তান নিয়ে সাংবিধানিক এই পরিবর্তন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৬ সালে ইসলাম কারিমোভের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করেন প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিয়োয়েভ। পরে দায়িত্ব নেন তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ।
মাহফুজা ৪-৭