দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা।।সাতদিন যাবৎ অবিরাম বর্ষণ আর পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে পটুয়াখালীর দশমিনায় তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর পানিতে উপকুলীয় এলাকাসহ উপজেলার নি¤œাœঞ্চল প্লাবিত হযে আছে। এদিকে, তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর বুকচিরে জেগে ওঠা ৭ নম্বর চরবোরহান ইউনিয়ন ৩-৪ ফুট পানিতে ডুবে আছে। এতে ওই ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ গবাদিপশু নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
সোমবার সকালে সরেজমিনে চরবোরহান ইউনিয়ন ঘুরে এরকম চিত্র পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ভবন পানিতে ডুবে থাকায় ইউপি’র সেবা কার্যক্রমে বিঘœ ঘটছে। এ ছাড়াও পানিতে ডুবে রয়েছে ১১টি প্রাথমিক ও ৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। পানিতে ডুবে রয়েছে পাগলা বাজার, সেন্টার বাজার ও চরশাহজালাল বাজারসহ কয়েকটি হাট-বাজার। চরবোরহান ইউনিয়নে বিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে প্রধান সড়কের সংযোগ সড়ক না থাকায় কলার ভেলা ও নৌকায় করে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এলেও পানির ভয়াবহতা দেখে বিদ্যালয় বন্ধ করে শিক্ষকরা।
এ ছাড়াও ৫ শতাধিক পুকুর ও মাছের ঘের এবং ২০ হাজার একর জমির আমন বীজতলা ডুবে আছে পানিতে। চরবোরহান ইউনিয়নের ১৩৩ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সোহাগ হোসেন বলেন, সকলে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখেন পানিতে ডুবে আছে বিদ্যালয় ভবন। চরবোরহান ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, খুব দ্রুত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু নিয়ে নিজ বাড়িতে আটকে আছেন। তারা আশ্রয়কেন্দ্র্রে যেতে পারছেন না।
এ বিষয়ে চরবোরহান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজির আহমেদ সরদার বলেন, প্রতি বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে বেঁচে আছে এ ইউনিয়নের মানুষ, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারি আমলা ও রাজনৈতিক নেতাদের পেছনে ছুটেছি কোনো কাজ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বেড়িবাঁধ নির্মিত হলে চরবোরহান ইউনিয়নের মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেত।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে এবং চরবোরহানে পানিবন্দি মানুষের মাঝে তাৎক্ষণিক ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে