টুইটার, ফেসবুকের পর এবার গণছাঁটাইয়ের পথে বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজন। অ্যামাজন ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে । তবে কর্মী ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি।
মার্কিন গণমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায় , ছাঁটাই হতে যাওয়া কর্মীদের বেশিরভাগই অ্যামাজনের ডিভাইস ইউনিটের। এছাড়া সংস্থার রিটেইল বিভাগ এবং মানবসম্পদ বিভাগেও কর্মী ছাঁটাই হবে। আপাতত কর্মী নিয়োগও স্থগিত করা হয়।
অ্যামাজনের সূত্রটি জানায়, মার্কিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয় এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো অ্যামাজনও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে রয়েছে।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্ট্রেইটস টাইমসের খবরে বলা হয়, কঠোর আর্থিক নীতি ও মুনাফার দুর্বল পূর্বাভাসের কারণে পুঁজিবাজারে অ্যামাজনের শেয়ারদর নিম্নমুখী। সব মিলিয়ে গত ১৬ মাসে কোম্পানিটির বাজারমূল্য কমেছে এক লাখ কোটি ডলার।
সম্প্রতি একটি মাসিক রিভিউ করেছে অ্যামাজন। সেখানে দেখা গেছে, এমনকিছু ইউনিট আছে যা একেবারেই লাভজনক নয়। তাই সেইসব ইউনিট থেকে কর্মী ছাঁটাই করে খরচ কমাতে চাইছে অ্যামাজন।
এ বছরের বড়দিন বা নববর্ষে তাদের ব্যবসা আগের তুলনায় কমে যাবে বলে মনে করছে অ্যামাজন।
গেল মাসে সাংবাদিকদের অ্যামাজনের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার ব্রায়ান ওলসাভস্কি বলেন যে, মানুষ কেনাকাটায় তাদের বাজেট কমিয়ে ফেলেছে।
বিশ্বের অন্যতম বড় ই-কর্মাস জায়েন্ট এবার তাদের ডিভাইস অ্যালেক্সার ব্যবসার দিকে মনোনিবেশ করতে চাইছে। সেইদিক বিচার করতে গিয়ে খরচ কমানোর বিষয়টি উঠে আসে।
সম্প্রতি কর্মী ছাঁটাই করে আলোচনায় আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার এবং একই পথে হাটে ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা।
মাহফুজা ১৪-১১