১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    বৃষ্টি হলেই বেহালদশা পটুয়াখালী বাস টার্মিনালের

    পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।বৃষ্টি এলেই বেহালদশায় পরিণত হয় পটুয়াখালীর বাস টার্মিনালের। বর্তমানে খানাখন্দে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বাস টার্মিনাল এলাকা। প্রতি বছর কিছু সংস্কার করে কোনোরকম কাজ চালালেও এবার সেটিও করা হয়নি। এ কারণে মহাসড়কে বাস থামিয়ে এখন যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছেন চালকরা।

    জানা যায়, ২০০৩ সালে দুই একর জমির ওপর ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এই বাস টার্মিনাল নির্মাণ করে। পরে তারা এটি পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করে এবং সেই থেকে পৌরসভা এটি রক্ষণাবেক্ষণ করছে।

    বর্তমানে বাস রাখার স্থানগুলোতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে তাতে পানি জমে থাকছে। ফলে যাত্রীরা এখন আর বাসে উঠতে কিংবা নামতে টার্মিনালের মধ্যে ঢুকছেন না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বাস মালিক ও শ্রমিকরা।

    গলাচিপার যাত্রী রুপা আক্তার জানান, অনেক কস্ট করে কাদাপানি পাড় হয়ে টিকিট কাটতে হয়। অনেক সময় পাশ দিয়ে গাড়ি গেলে ময়লা পানিতে কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। তারপরও বাধ্য হয়ে টার্মিনালে প্রবেশ করতে হচ্ছে টিকিটের জন্য। আসলে এটা দ্রুত সংস্কার করা জরুরী।

    কুয়াকাটায় ঘুড়তে আসা যাত্রী জহিরুল ইসলাম জানান, বাস টার্মিনালে কাদাপানি ও ছোট বড় গর্তের কারনে ভেতরে ঠুকতে সমস্যা হচ্ছে। যার কারনে ভেতরে প্রবেশ না করেই বাহির থেকে টিকিট কাটতে হচ্ছে। শহরের ভেতরের রাস্তাঘাট দেখতে খুব সুন্দর কিন্তু মহাসড়কের পাশে এমন একটি বাসটার্মিনালের অবস্থা খুবই খারাপ।

    একাধিক বাস মালিক জানান, প্রতিদিন তারা বাস টার্মিনালে প্রতি ট্রিপ বাবদ ৫০ টাকা করে পৌর টোল পরিশোধ করছেন। কিন্তু টার্মিনালে কোনো সুযোগ-সুবিধা তারা ভোগ করতে পারছেন না। এছাড়া গাড়ি নষ্ট হলে মেরামত করতে গিয়ে সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়। গাড়ি রেখে তার নিচে ঢুকে শ্রমিকরা যে কাজ করবে তেমন কোনো পরিবেশ এখানে নেই। যাত্রীদের রাস্তায় নামিয়ে দিতে হয়। আবার রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে হয়। যাত্রীদের জন্যও বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ।

    পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ রিয়াজ উদ্দিন মৃধা বলেন, প্রতি বছরই ২০ থেকে ২১ লক্ষ টাকার ইজারা হয় বাসটার্মিনালের। কিন্তু তারপরও এটি নতুন করে সংষ্কার করা হচ্ছে না। ডিসি, এসপি এমনকি মেয়রকে বারবার বলা স্বত্তেও এটার সংষ্কার করছে না তারা। সামান্য বৃষ্টি হলেই টার্মিনালের ভেতরে কাদাপানি ও অসংখ্য ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। যার ফলে চালকরা ভেতরে গাড়ি রাখতে পারছে না। যাত্রীরাও ভেতরে প্রবেশ করছে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব টার্মিনালকে সংষ্কার করার দাবি জানান তিনি।

    পটুয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ. জসিম উদ্দিন আরজু বলেন, যেসময় পটুয়াখালী বাস টার্মিনালটি নির্মাণ করা হয় সেসময়ই এর কিছু ত্রুটি ছিল। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে টার্মিনালের পানি অপসারণের জন্য কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এ কারণে বৃষ্টির পানি পুরো টার্মিনালের পার্কিং এলাকায় জমে থাকছে এবং বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

    পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, প্রতি বছর আমরা বাস টার্মিনালের খানাখন্দগুলো মেরামতের জন্য কাজ করি। তবে এবার সেটা করা হয়নি। কারণ আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নতুন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে বাস টার্মিনালের নির্মাণকাজ শুরু হবে। কোনো জটিলতা না থাকলে এ বছরের শেষ দিকেই নতুন বাস টার্মিনাল নির্মাণকাজ শুরু করার চেষ্টা করছি

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর