৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১১ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচ জনকে হল থেকে বহিষ্কার

    কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচ জনকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সোমবার বিকেলে হল কর্তৃপক্ষের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হল কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক ড. আহসানুল হক । তিনি জানান, তাদের তদন্তে ছাত্রী নির্যাতনের সত্যতা মিলেছে এবং  অভিযুক্ত পাঁচ জনের আবাসিকতা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান , চারুকলা বিভাগের হালিমা খাতুন  ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মোয়াবিয়া। ১ মার্চের মধ্যেই তাদের হল ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।

    বিকালে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম তার অফিস কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান। এসময় তিনি হল কমিটির গৃহিত লিখিত সিদ্ধান্তগুলো পাঠ করে শোনান।

    এছাড়াও গৃহিত সিদ্ধান্ত গুলোর মধ্যে ছিলো অভিযুক্ত ৫ জনকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের হল সংযুক্তি বাতিলের সুপারিশ করা এবং অভিযুক্ত হালিমা আক্তারের  হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

    দুপুর সাড়ে ১২ টায় জরুরী সভা ডেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং ৮০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনটি হল প্রভোস্ট বরাবর জমা দেয়া হয়।  তিনি আজ প্রতিবেদনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দেন।

    ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফুলপরী বলেন, এই সিদ্ধান্তে আমার সন্তষ্টি অসন্তষ্টির কিছু নেই তাদের যা প্রাপ্য শাস্তি তারা সেটাই পাবে। তদন্ত কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশা করি।

    ১৪ ফেব্রুয়ারি নবীন শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী ও তার প্রধান সহযোগী তাবাসসুমের বিরুদ্ধে প্রশাসন বরাবর ভয়াবহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করেন। এর  পর দিন বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই দিন বিকেল ৪টায় আইনজীবী গাজী মো. মহসীন হাইকোর্টে রিট করেন ।

    ১৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তিন দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসককে।

    এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। এসময় অভিযুক্ত সানজিদা ও তাবাসসুমকে ক্যাম্পাসের বাইরে থাকতে বলা হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর হল ছেড়ে চলে যান অভিযুক্তরা এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি তদন্তের স্বার্থে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

    ২২ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটি।

    মাহফুজা ২৭-২

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর