নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক বছরের শিশু মরিয়ম হত্যা মামলায় মা বিলকিসকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় বিলকিসের প্রেমিক সোলাইমানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
রোববার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ প্রথম বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সোলাইমান জামালপুরের মাদারগঞ্জ এলাকার লিচু আকন্দের ছেলে। আমৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত বিলকিস পটুয়াখালীর গলাচিপার নয়া হওলাদারের মেয়ে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাকসুদা আহমেদ জানান, ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম নন্দলালপুর এলাকার একটি চারতলা ভবনের সীমানা প্রাচীরের ভেতর থেকে পুলিশমরিয়াম নামে এক বছর বয়সী মেয়ে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ।
পরে ওই ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
হত্যা মামলাটির তদন্তে পুলিশ নিহতের মা বিলকিস ও তার পরকীয়া প্রেমিক সোলাইমানের সম্পৃক্ততা পায় বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান। পরকীয়া প্রেমের জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়।
“গ্রেপ্তারের পর তারা দুজনই ১৬৪ ধারায় অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তারা জানায় দুইজন মিলে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গুমের জন্য ওই ভবনের সীমানা প্রাচীরের ভেতর ফেলে রাখেন।”
পরের বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
এপিপি মাকসুদা আহমেদ জানান, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত শিশুটির মাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও প্রেমিককে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি উভয়কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিযেছেন।
এ ছাড়া হত্যার পর লাশ গুম করার অপরাধে আদালত আলাদা আরেকটি ধারায় আসামিদের আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও সাত বছরের কারাদণ্ড দেন বলেও জানান আইনজীবী মাকসুদা।
তদন্ত শেষে ১৩ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত রায় ঘোষণা করেন আজ।
মাহফুজা ২৬-২