সরকার ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের জন্য ১ কোটি ৬০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে । এতে ২৭৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা সরকারের খরচ হবে ।
বুধবার এ বিষয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সভা শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।
তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় মেঘনা এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেয়া হয়। এজন্য ১৯০ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয় হবে ।
তিনি জানান, টিসিবির জন্য এই সয়াবিন তেল কেনা হবে। এক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম পড়বে ১৭২ টাকা ৯৫ পয়সা এবং আগের ক্রয়মূল্য ছিল প্রতি লিটার ১৭৭ টাকা।স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে এই সয়াবিন তেল কেনা হচ্ছে।
সাঈদ মাহবুব খান বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রস্তাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ইউএন ট্রেডিং-এর কাছ থেকে আরও ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ তেলও টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।
১৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় টিসিবির জন্য ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। তেল কেনার কথা ছিল সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে।এ জন্য ব্যয় ধরা হয় ১৯১ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার টাকা। এতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়ে ১৭৪ টাকা ৫০ পয়সা।
৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ও ৮ হাজার টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেয়া হয়। তেল কিনতে ১৯৪ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার এবং মসুর ডাল কিনতে ৭৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়।
টিসিবি বর্তমানে ফ্যামিলি বা পরিবার কার্ডের আওতায় একজনের কাছে সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও দুই কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছে । প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০ , প্রতি কেজি চিনি ৫৫ , ১ কেজি মসুর ডাল ৬৫ ও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু সিটি করপোরেশন এলাকা ও টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয় সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ।
মাহফুজা ২২-২
