গুলশানে আগুনের ঘটনায় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লাফিয়ে পড়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে জানান ঢামেক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
রোববার রাত ১০টায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে অন্ততপক্ষে চারজন আহত হযন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই ভবন থেকে একজন পুরুষ, দুইজন নারী ও এক শিশু লাফিয়ে পড়েন।
আগুন লাগা আবাসিক ভবন থেকে এখন পর্যন্ত ৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আটকে পড়া অন্যদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রাখা হয়েছে একাধিক অ্যাম্বুলেন্স।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন জানান রোববার সন্ধ্যা ৭টায় গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর রোডের ১৪ তলা ভবনের ৭ম তলায় আগুন লাগে । এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। উদ্ধার অভিমানে ইতোমধ্যে অংশ নিয়েছে বিমান বাহিনীর একটি দল। খবর পেয়ে সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
আগুন লাগার পরপরই ভবন থেকে তাড়াহুড়ো করে অনেকেই নেমে আসেন এবং ভেতরে অনেকেই আটকা পড়েন। রাত সাড়ে ৮টায় আগুনের তীব্রতা কমতে থাকায় এসময় উদ্ধার অভিযান পরিচালনা শুরু করে সার্ভিসের কর্মীরা।
আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। রাত ৯টা ২০ মিনিটে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে উৎসুক জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করেন। এ সময় ডিএনসিসি মেয়র হ্যান্ড মাইক দিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে কাজের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং পুলিশকে ঘটনাস্থল থেকে সবাইকে সরানোর জন্য নির্দেশ দেন।
এদিকে ঘটনাস্থলে কর্মরত ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, প্রচণ্ড ধোঁয়ার কারণে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস সদরদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রথমে ৬টি, পরে ৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। কিন্তু আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পরে দুই দফায় আরও ৬টি করে ১২টি ইউনিট কাজে যোগ দেয়। বর্তমানে ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
মাহফুজা ১৯-২
