বগুড়ার শাজাহানপুরের পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জেরে শিশু রোমানকে হত্যার পর মরদেহ গুম করার অপরাধে দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে এই রায় বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াছমিন ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুইজন হলেন- শাজাহানপুরের ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামের আব্দুল খালেক ও চোপি নগর দক্ষিণ পাড়ার আব্দুল মাজেদ। তবে এই দুইজন পলাতক রয়েছেন।
রায়ে আব্দুর রাজ্জাককে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় এবং তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
২০১১ সালের ২৩ আগস্ট শাজাহানপুরের চোপি নগর এলাকার মাহবুর রহমানের ছেলে রোমানকে হত্যার পর মরদেহ গুম করে আসামিরা। পরে ২৮ আগস্ট একই এলাকার খলিল নামে একজনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে রোমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জহুরুল ইসলাম বলেন, রোমান হোসেনের দাদার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসামি খালেক ও মাজেদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এছাড়া নিহতের পরিবারের সঙ্গে তাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এসবের প্রতিশোধ নিতে আব্দুল খালেক ও আব্দুল মাজেদ শিশু রোমানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তারা আব্দুর রাজ্জাকের মাধ্যমে রোমানকে চকলেটের লোভ দিয়ে নিয়ে আসেন। এ কাজের জন্য আব্দুর রাজ্জাককে ৮ হাজার টাকা দেন খালেক ও মাজেদ।
পরে খালেক ও মাজেদ মিলে রোমানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এ সময় ওই শিশুর মরদেহ এলাকার এক প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর গুম করে রাখেন।
এ বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি হয়। এরপর থেকে আব্দুল খালেক ও আব্দুল মাজেদ পলাতক আছেন।
আইনজীবী জহুরুল ইসলাম জানান, আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াছমিন শিশু রোমান হত্যা মামলায় আসামি আব্দুল খালেক ও আব্দুল মাজেদকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আর আব্দুর রাজ্জাককে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়।
মাহফুজা ১৩-২