রাখি সাওয়ান্ত বিকৃত যৌনাচার, শারীরিক নির্যাতন, পরকীয়া, অর্থ-গহনা চুরি এবং পণ নেয়ার অভিযোগে স্বামী আদিল ডুরানির নামে মামলা করেছেন । এ মামলায় আদিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে রাখি বলেন— ‘আমার নগ্ন ভিডিও শুট করেছে আদিল এবং সেসব ভিডিও বিক্রি করেছে। এ নিয়ে আমি সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের করেছি।’
বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয় আদিলকে। এদিন আদালতে গিয়েছিলেন রাখি। সেখানে রাখি বলেন, ‘আদিল আমাকে ঠকিয়েছে। ওর কখনো জামিন পাওয়া উচিত নয়। আমার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে এবং সেসব প্রমাণ জমা দিয়েছি। আদিল আমাকে অকথ্য অত্যাচার করেছে আর ওটিপি নিয়ে সব টাকা নিয়ে নিয়েছে।’
এনডিটিভি জানায়, ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে মুম্বাইয়ের ওশিওয়ারা থানায় স্বামী আদিলের বিরুদ্ধে ৪০৬, ৪২০ আইপিসি ধারায় মামলা দায়ের করেন রাখি সাওয়ান্ত। তারপর পুলিশ আদিলের বিরুদ্ধে আইপিসি ধারা ৪৯৮ (এ), ৩৭৭ যুক্ত করেন।
পুলিশের তথ্যানুসারে, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে পরিচয় আদিল ও রাখির। এরপর একসঙ্গে একটি বিজনেস অ্যাকাউন্ট খোলেন দুজনে। নতুন গাড়ি কেনার নামে ২০২২ সালের জুন মাসে ১ কোটি ৫০ লাখ রুপি তুলে নেন আদিল ওই অ্যাকাউন্ট থেকে।
রাখির মা জয়া সাওয়ান্ত ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২৮ জানুয়ারি মারা গেছেন । আদিলের কারণে তার মা মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন রাখি। এ অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি যাওয়ার আগে রাদিল প্রোডাকশনে ১০ লাখ রুপির একটা চেক দিয়ে বলে গিয়েছিলাম, মায়ের টাকা প্রয়োজন হলে সেখান থেকে যেন খরচ করা হয়। এরপর আমার মায়ের অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু আদিল প্রয়োজন মতো টাকা হাসপাতালে দেয়নি। খুবই অল্প টাকা আমার বৌদির হাতে দিয়েছিল ও। আদিল টাকা না দেওয়ার কারণে সময়মতো অস্ত্রোপচার করানো যায়নি। আদিলের জন্যই মা আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন।’
এর আগে রাখি অভিযোগ করেন, আদিল পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়েছে এবং বহুবার নিষেধ করার পরও এ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেনি সে।
বিয়ের সার্টিফিকেটে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর তিন মাসের মাথায় বিয়ে করেন রাখি-আদিল। গেল বছরের জুলাই মাসে দুবাইয়ে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়। এজন্য নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় রাখি সাওয়ান্ত ফাতিমা। ধারণা করা হয় ইসলাম গ্রহণ করে আদিলকে বিয়ে করেছেন রাখি। আদিল শুরুতে এ বিয়ের কথা অস্বীকার করলেও পরে তা স্বীকার করেন ।
মাহফুজা ১০-২
