গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে ১৫ জনের দেয়া হলো যৌতুকবিহীন বিয়ে । ইজতেমার দ্বিতীয় দিন শনিবার বাদ আসর মূল মঞ্চের পাশে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
শনিবার বাদ আসর ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভী ওই বিয়ে পরিচালনা করেন। এর আগে বয়ান মঞ্চ থেকে তিনি এ সংক্রান্ত বয়ানও করেন। তার বয়ান তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলামের ছেলে মুফতি ওসামা ইসলাম।
বিয়ের বিষয়টি মিডিয়া সমন্বয়কারী মো. সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ইজতেমায় তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বি দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস বাদ আসর বয়ান শুরু করেন। বয়ান শেষে মাওলানা ইলিয়াস বিয়ে পড়ানোর কথা ছিল। বয়ান শেষ করে বিয়ের খুৎবা শুরুর আগ মুহূর্তে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী উপস্থিত হলে ছোট ভাই মাওলানা ইলিয়াস তাকে বিয়ে পড়ানোর অনুরোধ জানান। ছোট ভাই মাওলানা ইলিয়াসের অনুরোধে বড় ভাই মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী বিয়ে পড়ান।
হজরত ফাতেমা (রা.) ও হজরত আলী (রা.) বিয়ের দেনমোহর অনুসারে বিনা যৌতুকে মোহরে ফাতেমি প্রদানের মাধ্যমে ১৫টি বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ে শেষে উপস্থিত দম্পতিদের স্বজন ও মুসল্লিদের মধ্যে খেজুর দেয়া হয়।
মোহাম্মদ আবু সায়েম বলেন, এ পর্বে মোট ১৫টি যৌতুকবিহীন বিয়ে পড়ানো হয়েছে। বিদেশি মুসল্লিদের প্যান্ডেলের পাশে থাকা দোয়া মঞ্চে যৌতুকবিহীন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
আজ সকাল থেকেই বর-কনের নাম তালিকাভুক্তি শুরু হয়। বিয়ের আগ পর্যন্ত চলে ওই তালিকাভুক্তির কাজ। যৌতুকবিহীন বিয়ের ওই মঞ্চের সামনে কনের অনুপস্থিতে তার স্বজন এবং বর ও তার স্বজনরা উপস্থিত থেকে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়।
ইজতেমায় যৌতুকবিহীন বিয়ে করেন ঢাকার জিঞ্জিরা এলাকার হাফেজ আবু তালেব। তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যদের ইচ্ছাতেই ইজতেমা ময়দানে এসে বিয়ে করেছি। বিয়েতে কন্যার মতামত নিয়ে তার বাবা এসেছেন। একজন এসেছেন বিয়ের সাক্ষী হিসেবে। আসরের বয়ান শেষে মুরব্বিরা বিয়ে পড়ান।
এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে ৭০টি যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
মাহফুজা ২১-১