কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদকসহ তিন জন মারা গেছেন।সোমবার ভোরে উপজেলার বড়খারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দুপুরে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃতরা হলেন- কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন গিয়াস ও জহির রায়হান জজ , পৌর বিএনপির সাবেক সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক গোবিন্দ বিশ্বাস এবং রিকশাচালক শাজাহান মিয়া । শাজাহান রোববার রাতে মারা যান।
কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াছির মিয়া জানান, মদের বিষক্রিয়ায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ৮-১০জন অসুস্থ রয়েছেন। স্থানীয় একটি ওরসে গানবাজনার সময় তারা মদপান করেন। পরে বিষক্রিয়ায় রোববার রাতে একজন ও সোমবার সকালে আরও তিনজন মারা যান।
জানা যায়,গিয়াস উদ্দিন ও জহির রায়হান ভালো বন্ধু ছিলেন। শনিবার রাতে তারা এক বাড়িতে অনুষ্ঠানে যান । সঙ্গে ছিলেন প্যানেল মেয়র হাবিবুর রহমান। সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষে রাতে ফেরার পর থেকে তিন জনই অসুস্থবোধ করেন। পরদিন সকালে হাবিবুর রহমানকে জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে গতকাল ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
সোমবার ভোরে গিয়াস ও জহিরকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে প্রথমে মারা যান গিয়াস। এরপর হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে জহির রায়হানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
ওসি জানান, সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন , জহির রায়হান এবং ভাটি দোয়ারিয়া এলাকার বাসিন্দা গোবিন্দ বিশ্বাসের মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে খাবারে বিষক্রিয়ার প্রভাবে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা মিলন রায় জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অ্যালকোহলের বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিস্তারিত জানা যাবে।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নূরে আলম জানান, এ ঘটনায় কেউ এখনো অভিযোগ করেননি। তদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাবে।
মাহফুজা ১৬-১