১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    আগামীকাল ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    দ্বিতীয় ধাপে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালি এসব মসজিদ উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

    ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে অর্ধশত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করা হচ্ছে।

    এ নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় বেইলি রোডে প্রেস ব্রিফিং করবেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

    ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এম ফরিদুল হক খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সারা দেশে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করে বিশ্বের ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।

    মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মডেল মসজিদগুলোয় শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ অজু ও নামাজের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে। এ ছাড়া থাকবে হজ গমনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণকেন্দ্র, গবেষণাকেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের আগের আনুষ্ঠানিকতা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হিফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও পবিত্র কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামি সাংস্কৃতিক সম্মেলনকক্ষ। আরও থাকছে ইসলামি দাওয়াত, ইসলামিক বই বিক্রয়কেন্দ্র ও মসজিদের সঙ্গে দেশি–বিদেশি অতিথিদের জন্য একটি বোর্ডিং সুবিধা।

    মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২১ সালের ১০ জুন ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে নির্মাণকাজ চলছে আরও ২৮৬টির। এর মধ্যে এ মাসে ৫০টি উদ্বোধন শেষে ফেব্রুয়ারিতে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হবে।

    ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৬৪টি জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় লিফট সুবিধা এবং ২,৩৬০.০৯ বর্গ মিটারের ফ্লোর স্পেসসহ প্রায় ৬৯টি চারতলা মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।

    ‘বি’ ক্যাটাগরিতে প্রতিটি ১৬৮০.১৪ বর্গ মিটার ফ্লোর স্পেস দিয়ে ৪৭৫টি মসজিদ তৈরি করা হচ্ছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে ‘সি’ ক্যাটাগরির অধীনে ১৬টি মসজিদের প্রতিটি ২,০৫২.১২ বর্গ মিটার মেঝের স্পেস থাকবে।

    মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো যেসব এলাকায় রয়েছে, সেগুলো হলো ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও নগরকান্দা, গাজীপুরের কাপাসিয়া, গোপালগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ সদর ও কটিয়াদী, মানিকগঞ্জের ঘিওর ও সাটুরিয়া, নরসিংদী সদর ও মনোহরদী, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ও সদর, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ, বগুড়ার ধুনট ও নন্দীগ্রাম, নওগাঁর নিয়ামতপুর, নাটোরের বড়াইগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, পাবনার ভাঙ্গুরা, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া, ঠাকুরগাঁওয় সদর, শেরপুর সদর, পিরোজপুর সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও কসবা, খাগড়াছড়ি সদর ও মানিকছড়ি, কুমিল্লার চান্দিনা ও চৌদ্দগ্রাম, খুলনার রূপসা, কুষ্টিয়ার খোকসা ও ভেড়ামারা, মেহেরপুর সদর ও গাংনী, সাতক্ষীরার দেবহাটা, সিলেটের গোয়াইনঘাট, সুনামগঞ্জ সদর ও জগন্নাথপুর এবং হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা।

    মাহফুজা ১৫-১

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর