বিপিএলের সিইও হলে সাকিব মাত্র ১ থেকে ২ মাসে টুর্নামেন্টকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে পারবেন। বিপিএল শুরুর আগেই মন্তব্য করেছিলেন সাকিব আল হাসান। তার এমন বক্তব্যের পর মুখ খুলেছিলেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল। স্বাগতম জানিয়েছিলেন সাকিবকে সিইওর দায়িত্ব নিতে।
রোববার রাতে রুচির আয়োজনে মিট উইথ সাকিব আল হাসান প্রোগ্রামে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে প্রশ্ন করা হয় বিসিবি থেকে তাকে সিইওর দায়িত্ব দেওয়া হলে নেবেন কি না। এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘হলে তো সভাপতি হওয়াই ভালো।’
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে সোহেল জানান, ‘প্রথমেই সাকিবকে স্বাগত জানাই, ওকে ধন্যবাদ। ওর দৃষ্টি থেকে ও বলেছে এবং আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা গভর্নিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে তাকে আসার জন্য স্বাগত জানাই। ও যদি চায় সামনের বছর থেকেই সিইওর এর দায়িত্ব পালন করুক।’
টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। ফরচুন বরিশালের হয়ে এক ম্যাচ খেলাও হয়ে গেছে সাকিবের। তবে তার সেই মন্তব্য নিয়ে আলোচনা থামছে না।
বিপিএলের অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম নিয়ে রীতিমত বোমা ফাটিয়েছিলেন সাকিব। বিপিএলকে ‘যা তা’ আখ্যা দিয়ে এর অধঃপতনের জন্য ম্যানেজমেন্টকে দায়ী করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
গেল বুধবার গালফ অয়েল বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানিতে ১ দিনের জন্য চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসারের (সিইও) দায়িত্ব পান সাকিব। সেখানে সাংবাদিকদের সামনে বিপিএল নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তারকা এ অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘আমাকে যদি সিইওর দায়িত্ব দেওয়া হয় আমার বেশি দিন লাগবে না। আমার ধারণা, ১ থেকে ২ মাস লাগবে সবকিছু ঠিক করতে- ম্যাক্সিমাম। দুই মাসও লাগার কথা নয়। দুই মাস তো অনেক দূরের কথা বলেছি।’
সাকিব এসময় একটি হিন্দি সিনেমার প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, ‘নায়ক মুভিতে দেখেছেন, ১ দিনেও অনেক কিছু করা সম্ভব। যে পারে সে সবসময়ই করতে পারে।’
সাকিবের ধরনটাই এমন, হুটহাট চেয়ার নাড়িয়ে দেওয়া কথা বলতে তিনি ভয় করেন না। এখন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাকিবের এমন মন্তব্য কীভাবে নেন, সেটাই দেখার বিষয়।
মাহফুজা ৯-১