আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন । যাচাই বাছাইয়ে টিকলে দুই আসন থেকে নির্বাচন করবেন তিনি বলে ঘোষণা দেন।
দুই আসন থেকে কেন নির্বাচন করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দুই আসনের ভোটাররাই আমাকে ভালোবাসেন। এর মধ্যে, একটি আমার নিজের আসন, অপরটি থেকে এর আগে নির্বাচন করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘দুই আসন থেকে নির্বাচন না করলে ভক্ত এবং ভোটাররা মন খারাপ করবেন এবং তাদের মন রক্ষা করতেই দুই আসন থেকে নির্বাচন করতে চাই।’
ওই দুই আসনের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে হিরো আলমের এই বক্তব্যের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়নি। তার নিজের এলাকার ভোটাররাই হিরো আলমের নির্বাচনে দাঁড়ানোকে বাঁকা চোখে দেখছেন।
হিরো আলম জানান, সব ভোটারের ভালোবাসা নিয়েই ভোট করতে মাঠে নেমেছেন। জয়লাভের পর তিনি আসন রাখা বা ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এলাকাবাসী জানান, বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা বহুল আলোচিত হিরো আলম এক সময় ডিশ সংযোগের ব্যবসা ও সিডি বিক্রি করতেন। শৈশবে চানাচুরও বিক্রি করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি মডেলিং পেশায় নিয়োজিত হন। এরপর নিজের অভিনয় ও মিউজিক ভিডিও গান রেকর্ড করে ডিশে প্রচার করতে থাকেন।
এতে তার জনপ্রিয়তা সৃষ্টি হওয়ায় তিনি বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়নে পরপর দুইবার সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে হিরো আলম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেজ খুলে অভিনয় ও মিউজিক গানের দৃশ্য ছড়িয়ে দেন। পরে ইউটিউবে এসব আপলোড করে আলোচনায় আসেন।
সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করা হিরো আলম গত ২০১৮ সালে বগুড়া-৪ আসনের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬৩৮ ভোট পান। নির্বাচনে তিনি জামানত হারান
মাহফুজা ৭-১
