কেভিন ম্যাকার্থি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন । শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
শুক্রবার রাতে মার্কিন ক্যাপিটলে হাউসে এ ভোট হয়।
১৫ দফা ভোটাভুটির পর স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির এ নেতা। শনিবার ম্যাকার্থির পক্ষে ভোট পড়েছে ২১৬টি আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক নেতা হাকিম জেফ্রিস পেয়েছেন ২১২ ভোট। প্রতিনিধি পরিষদের আরও ছয় সদস্য ‘প্রেজেন্ট’ ভোট দিয়েছেন।
রিপাবলিকানরা সদস্যরা এর আগে কেভিন ম্যাকার্থিকে মনোনীত করতে সম্মত হয়েছিলেন। কিন্তু শেষমুহূর্তে দলটির কয়েকজন নেতা সমর্থন প্রত্যাহারের হুমকি দিলে ৫৭ বছর বয়সী এ নেতার ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ম্যাট গেটজের মতো প্রধান রিপাবলিকান বিদ্রোহীরা তাঁর বিরুদ্ধে ভোট না দেওয়ায় তিনি অবশেষে জয়ের মুখ দেখলেন।
৪তম ভোটাভুটিতে আর মাত্র একটি ভোট পেলেই স্পিকার পদ নিশ্চিত হতো ম্যাকার্থির। কিন্তু নিজ দলীয় সদস্য ম্যাট গেটজ ভোট দিতে রাজি না হলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন ম্যাকার্থি। এ নিয়ে প্রতিনিধি পরিষদে হট্টগোলও শুরু হয়।
সিএনএনের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে পঞ্চম দীর্ঘতম প্রতিযোগিতার পর হাউজ স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন কেভিন ম্যাকার্থি। তার বিজয়ে মার্কিন কংগ্রেসে ১৬৪ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম অচলাবস্থার অবসান ঘটলো।
ফল ঘোষণার সময় প্রতিনিধি পরিষদকর্তা শেরিল জনসন বলেন, ‘অবশেষে, কেভিন ম্যাকার্থি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন।’এরপর সদস্যরা দাঁড়িয়ে নবনির্বাচিত স্পিকারকে অভ্যর্থনা জানান।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ম্যাকার্থি সবার উদ্দেশ্যে বলেন, আমি খুশি যে এটা (ভোটাভুটি) শেষ হলো।তিনি বলেন, ‘আমার বাবা সবসময় আমাকে বলতেন, কীভাবে শুরু করলে তা বড় বিষয় নয়, শেষটা কেমন হলো সেটিই আসল। এখন আমাদের কঠিন একটা শেষ লড়াই করতে হবে।’
মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের ডেমোক্র্যাটিক দলীয় স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির স্থলাভিষিক্ত হবেন রিপাবলিকান কেভিন ম্যাকার্থি।
নতুন স্পিকারকে এরই মধ্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তিনি রিপাবলিকানদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।
গত নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে রিপাবলিকানরা। কিন্তু দলের মধ্যে স্পিকার নির্বাচন নিয়ে ঐকমত্য না থাকায় চেম্বারে কোনও বিল পাস করা সম্ভব হচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন অচলাবস্থা দেখা দিয়েছিল দাসপ্রথা ইস্যুতে গৃহযুদ্ধ শুরুর আগে। ১৮৬০ সালে মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে স্পিকার নির্বাচনে ৪৪ দফা ভোটাভুটি হয়েছিল।
মাহফুজা ৭-১