পাবনার ঈশ্বরদীতে মামুন হোসেন নামের এক রিকশাচালককে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামাল উদ্দিনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদুল মবিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, ভোররাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
কামাল উদ্দিন ঈশ্বরদী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর। গ্রেপ্তার অপর আসামি হলেন একই মহল্লার জামাল উদ্দিনের ছেলে হৃদয় হোসেন।
তৌহিদুল মবিন খান বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে মামুন হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি কামাল উদ্দিন ও তিন নম্বর আসামি হৃদয় হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ঈশ্বরদী থানায় হস্তান্তর করা হবে।’
কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের স্ত্রী শারমিন সুলতানা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একদল সদস্য কামাল উদ্দিন ও হৃদয় হোসেনকে আটক করে নিয়ে গেছেন।
ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। কিন্তু তার ভাই আনোয়ার হোসেন যুবলীগের পরিচয় ব্যবহার করলেও কোনো কমিটির পদ-পদবি নেই।
বুধবার রাতে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সড়কের কাচারিপাড়া মোড়ে যাত্রীবাহী ভটভটি (শ্যালো মেশিনচালিত) ও লেগুনার সংঘর্ষে লেগুনার সামনের গ্লাস ভেঙে যায়। লেগুনার চালক ভটভটির গতিরোধ করে চালকের কাছে গ্লাস ভাঙার জরিমানা দাবি করেন। এসময় কাচারীপাড়া মোড়ে চায়ের দোকানে বসে থাকা মামুন , রকি ও সুমনের সঙ্গে চালকের বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় রহিমপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদ নুরুর ছেলে যুবলীগ সমর্থিত আনোয়ার উদ্দিন ঘটনাস্থলে এলে মামুন, রকি, সুমনসহ ভটভটি চালকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে আনোয়ারের নেতৃত্বে ১১ জন ঘটনাস্থলে আসার পর মামুন, রকি, সুমনদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে রিকশাচালক মামুন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
মামুনের দুই সঙ্গী পিয়ারাখালী এলাকার শরীফ হোসেনের ছেলে রকি ও সুমন আহত হন। গুলিবিদ্ধ ও ছুরিকাঘাতে আহত অপর দুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মামুনের মা লিপি আক্তার বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার আসামিরা হলেন আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম হোসেন, পৌরসভার কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন ও হৃদয় হোসেন।
মাহফুজা ৬-১