১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে অ্যামাজন। ব্যয় সংকোচনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জেফ বেজোস প্রতিষ্ঠিত এ সংস্থা এ সিদ্ধান্ত নেয়। ১৮ জানুয়ারি থেকে ছাঁটাই কার্যকর হবে। প্রযুক্তি জায়ান্টটির প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি জেসি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে কোম্পানিটির ৩ লাখ শক্তিশালী করপোরেট জনশক্তির প্রায় ৬ শতাংশ ছাঁটাইয়ের আওতায় পড়বে। কর্মীদের পাঠানো এক নোটে অ্যামাজনের সিইও বলেছেন, ছাঁটাইয়ের আওতায় আসা কর্মীদের ১৮ জানুয়ারি থেকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
গেল বছরের নভেম্বরে বড়সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল অ্যামাজন। কোম্পানির করপোরেট এবং প্রযুক্তি বিভাগে কাজ করা প্রায় ১০ হাজার কর্মী চাকরি হারাতে পারেন বলে গুজব উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন বছরের শুরুতেই ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই নিশ্চিত করল অ্যামাজন।
প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি জেসি বলেন, যারা ছাঁটাই হচ্ছেন তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন স্বাস্থ্য বিমা সুবিধা এবং বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার চেষ্টা।
সিইও আরও বলেন, ‘অ্যামাজন অতীতে অনিশ্চিত ও কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে এবং আমরা সেটা চালিয়ে যাব।
তবে কোন অঞ্চলের এবং কোন বিভাগের কর্মী ছাঁটাই হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলেননি অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী । তিনি জানান, ইউরোপের যেখানে যেখানে প্রযোজ্য সেখানে কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনগুলোর সঙ্গে কোম্পানি যোগাযোগ করবে। তবে অ্যামাজনের স্টোর অপারেশন, পিপলস, এক্সপেরিয়েন্স ও টেকনোলজি দল থেকে সবচেয়ে বেশি কর্মী ছাঁটাই হবে বলে জানান তিনি।
দুই মাস আগে বার্ষিক ব্যবসা পরিচালনাসংক্রান্ত পর্যালোচনায় অ্যামাজন বলেছিল, কোম্পানিটি ব্যয় কমানোর দিকে মনোনিবেশ করবে।
ব্যয় সংকোচনের অংশ হিসেবে অ্যামাজন এরই মধ্যে নতুন কর্মী নিয়োগ স্থগিত করে। বেশকিছু ওয়্যারহাউসের সম্প্রসারণ কাজও বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহৃত রোবট প্রকল্প বাতিলসহ ব্যবসার কিছু অংশ বন্ধেরও পদক্ষেপ নিয়েছে অ্যামাজন।
মাহফুজা ৫-১