গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ আগামীকাল অনুষ্টিত হবে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
নির্বাচনে সাঘাটা ও ফুলছড়ি এ দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ১৪৫টি কেন্দ্রের ৯৫২টি বুথে ভোট নেয়া হবে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার মধ্য রাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা। ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোটদান নিশ্চিতে ১৭ জন ম্যাজিস্ট্রটের নেতৃত্বে র্যাব-বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৩ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে নির্বাচনী এলাকায়। ভোটের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ১৪৫ টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
উপ-নির্বাচনে দায়িত্বরত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব জানান, যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ ও নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবেন র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা। এরই মধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ১৪৫ জন প্রিসাইডিং, ৯৫২ জন সহকারী প্রিসাইডিং ও এক হাজার ৯০৪ জন পোলিং কর্মকর্তা। সাঘাটা উপজেলার দুই লাখ ২৫ হাজার ৭০ জন এবং ফুলছড়ি উপজেলার এক লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ জনসহ মোট তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার ভোট দেবেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির (জাপা) এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম ও স্বতন্ত্র সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী (আপেল মার্কা) নাহিদুজ্জামান নিশাত উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান জানান, দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন। নির্বাচনের দিন প্রতি ইউনিয়নে একজন করে মোট ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেনন। পাশাপাশি কয়েক প্লাটুন বিজিবি ও অস্ত্রধারী আনসার সদস্য থাকবেন।
গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ-সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্য ঘোষণার পর ১২ অক্টোবর উপ-নির্বাচনের দিন ধার্য হয়। ভোটে অনিয়ম হওয়ায় তা বাতিল করা হয়।
১৪ নভেম্বর ওই অনিয়মের প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। তদন্তে ১২৫ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পাঁচ কেন্দ্রের পাঁচজন পুলিশ উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তদন্ত শেষে গত ৬ নভেম্বর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।
মাহফুজা ৩-১