বিএনপি থেকে পদত্যাগ করার পর এবার উপ-নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া।
রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ফরম সংগ্রহ করেন সাদ মো. আব্দুর রশিদ নামের এক ব্যক্তি। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বিষযটি নিশ্চিত করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন সংগ্রহ ও নির্বাচনের অংশগ্রহণের বিষয়ে তার ছেলে মাঈনুল হাসান জানান, বাবার পক্ষে আমাদের এক আত্মীয় ফরম সংগ্রহ করেছেন। তবে এখনো আরো কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাকি আছে। ফরম জমা দেওয়ার ৫ তারিখের আগে নির্বাচনের অংশগ্রহণের বিষয়টি পরিষ্কার করে বলা যাচ্ছে না। বাবা যদি নির্বাচন অংশগ্রহণ করেন তাহলে সাংবাদিকদের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হবে
মনোনয়ন পত্র নেয়ায় বিএনপি নির্বাচনী এলাকায় তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে । একই সঙ্গে তার ছেলে মঈনুল হক তুষারকেও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি আলাদা সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেয়।
আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি হাজী মো. শাহজাহান সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-১ ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নাছির মুন্সী, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন ।
সরাইল উপজেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিসুল ইসলাম ঠাকুর, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লস্কর তপু, সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জামাল লস্করসহ অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতারা বলেন, উকিল আব্দুস সাত্তার বিএনপির পরিচয়ে একাধিকবার সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। সংসদ সদস্য না হওয়ার পরও বিএনপি থেকে তাকে প্রতিমন্ত্রী বানানো হয়েছিল। পদত্যাগ করে দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। আগামী সরাইল-আশুগঞ্জ উপ নির্বাচনে উকিল আব্দুস সাত্তার নির্বাচনের অংশ নিলে তাকে প্রতিহত করা হবে। একই সঙ্গে তাকে এবং তার ছেলে মঈনুল হক তুষারকে আশুগঞ্জ ও সরাইলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। যদি দলীয় নেতাকর্মীদের কেউ তার পক্ষে নির্বাচনে পক্ষ নেন, তাদের বিরুদ্ধেও দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন আবদুস সাত্তার। আর দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে ১১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন থেকে তিনি পদত্যাগ করেন
১৯৭৯ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপির হয়ে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে জোটকে আসনটি ছেড়ে দিলে টেকনোক্রেট কোটায় তিনি আইন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে বিএনপির হয়ে ফের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তে ১১ ডিসেম্বর সংসদ সদস্য পদ থেকে সরে যান।
তার ছেড়ে দেওয়া আসনে ১ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পদত্যাগের পর তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ উপ নির্বাচনে অংশ নিতে রোববার মনোনয়নপত্র নিয়েছেন তিনি।
মাহফুজা ২-১