কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসে ভারি বৃষ্টিতে বন্যা ও ভূমিধসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৬৯ জনে। বন্যাজনিত দুর্ঘটনায় আহত হন আরও ৩০ জন। দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম সমন্বয় কার্যালয় (ওসিএইচএ) শুক্রবার এ তথ্য জানায়।
বন্যার কারণে কিনশাসার মন্ট-এনগাফুলা জেলার অন্তত ২৮০টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। কঙ্গোর মূল জাতীয় সড়কের বড় একটি অংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এবারের বন্যায় ৩৮ হাজার বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হহয়েছেন।
নগরীর মন্ট-নগাফুলা এবং এনগালিমা জেলাগুলি বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ওসিএইচএ-এর এবং সরকারের একটি যৌথ টিম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে। ওসিএইচএ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আজ নিহতদের স্মরণে তিন দিনের জাতীয় শোক পালনের শেষ দিন । সরকার নিশ্চিত করেছে যে, যারা তাদের জীবন হারিয়েছে তাদের একটি মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ সমাধির আয়োজন করবে।
পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার অন্তত ২০টি দেশের ৮২ লাখ মানুষ এ সপ্তাহে ভারি বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার, জাতিসংঘের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং অর্ধ মিলিয়নেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
গত অক্টোবর মাস থেকেই ইকুয়েডর, মানিমা, নর্ড-উবাঙ্গি, সুদ-উবাঙ্গি এবং তিশাপো প্রদেশগুলি বন্যাক্রান্ত হয়ে আছে।
অব্যবস্থাপনা আর অনিয়ন্ত্রিত দ্রুত নগরায়ন কিনশাসাকে তীব্র বৃষ্টিপাতের পর আকস্মিক বন্যার ঝুঁকিতে ফেলেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে এসব দুর্যোগ আরও ঘন ঘন হচ্ছে।
মাহফুজা ১৮-১২