তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মারা গেছেন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের বহু ভবন ধসে গেছে ।
আঙ্কারা ভবন ধসে মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে । এরই মধ্যে সন্দেহভাজন হিসেবে ১৮৪ জনকে আটক করা হয়। দেশটির এক মন্ত্রী শনিবার তদন্ত শুরুর কথা নিশ্চিত করেন।
তুরস্কের বিচারবিষয়ক মন্ত্রী বেকির বোজদাগ বলেছেন, ৬০০ লোকের বিরুদ্ধে ভবন ধসের সঙ্গে সম্পৃক্ত অভিযোগে তদন্ত হচ্ছে। দিয়ারবাকিরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তুরস্কে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি প্রদেশের মধ্যে এটি একটি। তিনি আরও জানান, আটকদের মধ্যে ভবনের মালিক, কন্ট্রাক্টর ও ম্যানেজার আছেন। অপরাধবিষয়ক মামলা করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে এবং তদন্ত চলমান রয়েছে । দ্রুতই শুরু হবে বিচারকাজ।
আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ৭৯ জন ঠিকাদার, ৭৪ জন ভবন নির্মাণের আইনভঙ্গকারী, ১৩ জন সম্পত্তির মালিক এবং আরও ১৮ জন যারা ভবন পরিবর্তন করেছিলেন।
এবারের ভূমিকম্প এ ১ লাখ ৬০ হাজার ভবনের ৫ লাখ ২০ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট ধসে পড়েছে বা ক্ষতি হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপ এরদোয়ান, ক্ষতিগ্রস্থদের পুনরায় বাড়িঘর নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তুরস্কে যারা বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন নির্মাণ করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে। ৬ ফেব্রুয়ারির ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কেই ৪৪ হাজার ১২৮ এবং সিরিয়ায় ৫০ হাজার জন মারা গেছেন।
প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোনো চূড়ান্ত মৃতের সংখ্যা জানায়নি তুরস্কের কর্মকর্তারা । সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তারা জানান আরও মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারে। ভূমিকম্পে দেশটির অন্তত ২০ লাখ মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন।
মাহফুজা ২৬-২