ভারতের বিহার রাজ্যে বিষাক্ত মদ পানে ৩১ জন মারা গেছেন। এছাড়া অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বেশ কয়েকজন। স্থানীয় পুলিশ জানায়, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার বিহারের রাজধানী পাটনার প্রায় ৬০ কিলোমিটার উত্তরে সারান জেলায় মদ্যপায়ী কয়েক জন বমি শুরু করে। পরে তাদের অবস্থার অবনতি ঘটে। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই কয়েক জনের মৃত্যু হয়। বুধবার ও বৃহস্পতিবার কয়েক জন চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ৩১ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
পুলিশ কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার জানিয়েছেন, চিকিৎসাধীন বেশ কয়েক জন তাদের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানায় সংশ্লিষ্ঠরা । তবে প্রাথমিকভাবে বিষাক্ত মদকেই মৃত্যুর কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। একই অভিযোগ করেছে মৃতদের পরিবারও।
স্থানীয় ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিধায়ক জনক সিং এ মৃত্যুর জন্য নিতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন বিহার সরকারকে অভিযুক্ত করেছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে এ বিধায়ক বলেন, রাজ্যে প্রায়ই বিষাক্ত মদ খেয়ে অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কিছুই করছেন না। এর জন্য বিহারের রাজ্য সরকারকেই দায়ী করা হবে। কারণ, মূখ্যমন্ত্রী নিতীশ বলেছিলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটলে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মদ পানে এই মৃত্যুর ঘটনা রাজ্যটির পূর্বাঞ্চলীয় দুটি দরিদ্র গ্রামে ঘটেছে। ২০১৬ সালে রাজ্যটিতে মদ বিক্রি ও পান নিষিদ্ধ করা হয়। ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে। এই সুযোগে কালোবাজারে স্বস্তা মদ বিক্রি চলছে দেদারছে।
মাহফুজা ১৫-১২