কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসে ভারি বৃষ্টির কারণে বন্যা ও ভূমিধসে মারা গেছেন ১২০ জন। বন্যাজনিত দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। আল-জাজিরা খবরটি নিশ্চিত করে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জিন-মিশেল সামা লুকোন্দে মঙ্গলবার টেলিভিশন ভাষণে বলেন, কর্মীরা এখনো উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন এবং প্রাথমিকভাবে মানুষদের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় তিনটি অফিসের কর্মকর্তারা এপিকে বলেছেন, কিনশাসার প্রায় ২৪টি এলাকার ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত এবং ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। এনগালিমা এলাকার মেয়র আলিদ’ওর শিবান্দা জানিয়েছেন, তিন ডজনেরও বেশি লোক মারা গেছেন ওই এলাকায়।
রয়টার্স বলছে, রাজধানী কিনশাসায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যার হিসাব রাখছে দেশটির জেনারেল ম্যানেজমেন্ট অব মাইগ্রেশন। এটি আফ্রিকার এই দেশটির
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি অংশ।
অবশ্য মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জিন-জ্যাক এমবুঙ্গানি এমবান্ডা রয়টার্সকে বলেছেন, তার মন্ত্রণালয় ১৪১ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে গণনা করেছে তবে এই সংখ্যাটি অন্যান্য বিভাগের গণনা করা সংখ্যার সঙ্গে ক্রস-চেক করা দরকার।
ভারী বর্ষণের পর কিনশাসা শহরের আশপাশের সকল এলাকা কর্দমাক্ত পানিতে প্লাবিত হয়ে যায় এবং রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যাওয়া সড়কগুলোর মধ্যে এন১ হাইওয়ে রয়েছে যা কিনশাসাকে মাতাদির প্রধান সমুদ্র বন্দরের সাথে সংযুক্ত করেছে।
ডিআর কঙ্গোর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এন১ হাইওয়ে ৩-৪ দিনের জন্য বন্ধ থাকতে পারে।
মন্ট-এনগাফুলা জেলার প্রধান একটি মহাসড়কে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা।
প্রাধানমন্ত্রী ও আঞ্চলিক গভর্নর বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি।
কিনশাসে প্রায় দেড় কোটি মানুষের বসবাস।অব্যবস্থাপনা আর অনিয়ন্ত্রিত দ্রুত নগরায়ন কিনশাসাকে তীব্র বৃষ্টিপাতের পর আকস্মিক বন্যার ঝুঁকিতে ফেলেছে।
মাহফুজা ১৪-১২