পাকিস্তানের চমন সীমান্তের কাছে আফগান বাহিনীর গুলিতে পাকিস্তানের ৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এই দাবি করেছে। এদের মধ্যে৫ পাকিস্তানি ও এক আফগান বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন। উভয় পক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রয়টার্স ও আল-জাজিরা এ তখ্য জানায় ।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং রোববার জানায়, ওই গুলিবর্ষণে ১৭ জন আহত হয়েছে। পাকিস্তান এই হতাহতের জন্য বেসামরিক লোকজনের ওপর আফগান বাহিনীর ভারী অস্ত্রের ‘বিনা উসকানিতে ও নির্বিচার’ হামলাকে দায়ী করেছে। চামান সীমান্ত ক্রসিং পাকিস্তানের পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশকে আফগানিস্তানের দক্ষিণ কান্দাহার প্রদেশের সঙ্গে সংযুক্ত করে।
দক্ষিণ-পূর্ব বেলুচিস্তান প্রদেশের চামান সীমান্ত পারাপার এলাকায় পাকিস্তানের সেনারা রোববারের এ হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
আফগান নিরাপত্তাবিষয়ক সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানি বাহিনী, আফগান বাহিনীকে সীমান্তের পাশে একটি নতুন চেকপোস্ট নির্মাণ বন্ধ করার দাবি করার পর সংঘর্ষ শুরু হয় দু’পক্ষের।
কান্দাহার পুলিশের মুখপাত্র হাফিজ সাবের জানান, একজন আফগান বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। আহতদের মধ্যে ৩ জন বেসামরিক লোক।
চামানের একটি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক আখতার মোহাম্মদ জানান, ২৭ জনকে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৬ জন মারা যান। আরও সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আফগানিস্তানের কান্দাহারের গভর্নরের একজন মুখপাত্র আতাউল্লাহ জায়েদ জানান, আফগান সীমান্তে নতুন চেকপয়েন্ট নির্মাণ নিয়ে মূলত পাকিস্তানি ও তালেবান বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত।
কান্দার পুলিশের মুখপাত্র হাফিজ সাইদ বলেন, সংঘর্ষে এক আফগান সৈন্য নিহত এবং তিন বেসামরিক লোকসহ অন্য ১০ জন আহত হন।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আফগান গুলির জবাব দেওয়ার কথা জানালেও বিস্তারিত কিছু বলেনি। তারা বিষয়টি কাবুলে আফগান কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যস্ত করেছে বলে জানায়।
কান্দাহার প্রদেশের এক আফগান কর্মকর্তা নূর আহমেদ এ ঘটনার পর জানিয়েছেন, ঘটনাটি দুর্ঘটনাবশত ঘটেছে এবং দুই পক্ষ বৈঠক করার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
মাহফুজা ১২-১২