চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হল টুইটারের ডেপুটি জেনারেল কাউন্সেল জেমস বেকারকে । টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক টুইটার কেনার পর হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করেন । এর মধ্যে রয়েছেন টুইটারের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও আইনি প্রধান বিজয়া গাড্ডেসহ বেশ কিছু শীর্ষ কর্মকর্তাও। কোনো ধরণের পূর্ব নোটিশ ছাড়াই তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এবার টুইটারের ডেপুটি জেনারেল কাউন্সেল জেমস বেকারকে বরখাস্ত করার কথা জানালেন মাস্ক। খবরটি নিশ্চিত করেছে এনডিটিভি।
ইলন মাস্ক এক টুইট বার্তায় জানান, আগের পরিচালকদের অধীনে তথ্য গোপন সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে বেকারকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। হান্টার বাইডেনের ল্যাপটপের ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য চাপা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেকার মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, জনসাধারণের সংলাপের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চাপা দেওয়ার ইস্যুতে জেমস বেকারের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগের কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহেই সাংবাদিক ম্যাট তাইব্বির সঙ্গে যৌথভাবে ‘টুইটার ফাইলস’ প্রকাশ করেছিলেন মাস্ক। টুইটারের সঙ্গে রাজনৈতিক ক্ষমতাবানদের অভ্যন্তরীণ যোগসূত্র খোলসা করা হয় এই ফাইলগুলিতে। ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় হান্টার বাইডেনের ল্যাপটপ বিতর্ক নিয়ে তথ্য চেপে দেওয়া হয় বলেও জানানো হয়েছে। হান্টার হলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দ্বিতীয় ছেলে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় বাবা-ছেলে দুর্নীতি করেছিলেন এমন একটি বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। সেই দুর্নীতির নিদর্শন ছিল হান্টারের ল্যাপটপে যা কোনওভাবে ফাঁস হয়ে যায়। সেই সম্পর্কিত তথ্যই চেপে গিয়েছে টুইটার বলে প্রকাশিত করেছে ‘টুইটার ফাইলস’। ল্যাপটপের তথ্য হ্যাক হয়েছে কি না সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে ভূমিকা নিয়েছিলেন বেকার, একথা জানান তাইব্বি।
একটি মেরামতির দোকানে ল্যাপটপ দিয়ে গিয়েছিলেন হান্টার, বলা ভাল পরিত্যাগই করেছিলেন। সেই ল্যাপটপ থেকে ইমেল উদ্ধার করে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যম যাতে প্রমাণিত হয় ইউক্রেনে বায়ো-কেমিক্যাল অস্ত্র তৈরির পয়সা জোগাতে সাহায্য করেছিলেন বাইডেন-পুত্র। এই দাবি আগেই করেছিল রাশিয়া।
বৈদেশিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বার বার রিপাবলিকান এবং অন্যান্য দলের কটাক্ষ ও সমালোচনার শিকার হয়েছে বাইডেন শিবির। হান্টারের ইমেল ফাঁস হওয়ার পর এই নিয়ে হই চই বেড়ে যায় অনেকটাই। তবে এবার ‘টুইটার ফাইলস’ প্রকাশিত বিতর্ক নস্যাৎ করে দিয়ে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এসব মিথ্যে খবর।
জানা গেছে, টুইটারের অর্ধেক কর্মী ছেঁটে ফেলতে পারেন নতুন মালিক ইলন মাস্ক। সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয় ৩৭০০ কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছেন মাস্ক।
নিউইয়র্ক টাইমসও একটি প্রতিবেদনে জানায়, নভেম্বরের গোড়া থেকে ছাঁটাইয়ের পথে যেতে পারেন মাস্ক। তখন অবশ্য এই খবর অস্বীকার করেন তিনি।
রয়টার্স জানায় , প্রথম ধাপে সংস্থার মোটকর্মীর এক-তৃতীয়াংশকে ছাঁটাই করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর ধীরে ধীরে কর্মীসংখ্যা অর্ধেক করা হবে।
মাহফুজা ৭-১২