বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশ হত্যার ঘটনার তদন্তে অগ্রগতি আছে। খুনের মোটিভ ও প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে র্যাব বলে জানালেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন । তবে কী অগ্রগতি আছে তা বিস্তারিত জানানো হয়নি।
সোমবার) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ফারদিন হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত ডিজিটাল ফুটেজ পাওয়া গেছে তথ্যপ্রযুক্তিগত সহায়তায়। হত্যাকাণ্ডের আগে ফারদিনের) যেসব জায়গায় বিচরণ ছিল, সেসব স্থানে যারা ছিলেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। র্যাবের সাথে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। ফারদিন হত্যার মোটিভ কি তা উদঘাটনের চেষ্টা করছি এবং আমরা এ হত্যায় প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে কাজ করছি।
গত ৪ নভেম্বর রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বান্ধবী বুশরাকে বাসায় যাওয়ার জন্য এগিয়ে দেন ফারদিন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি।নৌপুলিশ ৭ নভেম্বর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে । এ খবরে তার পরিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে ফারদিনকে শনাক্ত করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার শরীরে জখমের চিহ্ন ছিল। পরে এ ঘটনার তিনদিন পর নিহতের বাবা রানা বাদি হয়ে রামপুরা থানায় নিহতের বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।
ফারদিন ডেমরা থানার শান্তিবাগ এলাকার সাংবাদিক কাজী নূর উদ্দিন রানার ছেলে। তিনি বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন, ৪ নভেম্বর গভীর রাতে ফারদিনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক অনুযায়ী তার সবশেষ অবস্থান শনাক্ত হয় রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তি এলাকায়।
মাহফুজা ৫-১২