সিলেটের সাংবাদিক ফতেহ ওসমানী হত্যা মামলায় আদালত ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন । আসামিদের ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সোমবার সকাল ১১টায় এ রায় ঘোষণা করেন সিলেটের বিশেষ জেলা জজ ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস ।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- সুনামগঞ্জ সদর থানার মঙ্গলকাটা বাজার এলাকার দুর্লভপুর গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন ,জৈন্তাপুর থানার আদর্শগ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে কাশেম আলী , সুনামগঞ্জ এর আমতলী গ্রামের রাজন মিয়ার ছেলে সুমন, নগরীর আরামবাগ ১৩ নং বাসার সিরাজ মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া , কিশোরগঞ্জ সদর থানার নগুয়া গ্রামের আজিজুর রহমান ফয়ছল আহমদ রাসেল ও সুনামগঞ্জ ভাটিপাড়ার (গণকা) জাহান নুরের ছেলে শাহ আলম।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী এস এম আবুল কালাম আজাদ জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামি কাশেম আলী ছাড়া সব আসামি পলাতক আছেন ।
২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল রাতে সাংবাদিক ফতেহ্ ওসমানী তার বন্ধু আব্দুল মালেককে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাসায় ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ১১টায় নগরীর শাহী ঈদগাহস্থ শাহ মীর (র:) মাজারের সামনের রাস্তায় পৌঁছামাত্র ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ফতেহ্ ওসমানী ও তার বন্ধু আব্দুল মালেক আহত হন এবং ২৮ এপ্রিল রাতে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় নিহত ফতেহ্ ওসমানীর ছোট ভাই আল—ফরহাদ মতিন বাদী হয়ে ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসী সাদ্দাম ও কাশেমের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৮—১০ জনকে আসামি করে কতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এক যুগ পর শুনানি শেষে আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।
সিলেট বিশেষ জেলা জজ ও জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল এর পিপি অ্যাডভোকেট মফুর আলী বলেন, সাংবাদিক ফতেহ ওসমানী হত্যা মামলা একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা এবং আদালত ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
মাহফুজা ৩১-১০