বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি আর নদীর জোয়ারের পানিতে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাগেরহাট সদর উপজেলার তিনটি গ্রামের পাঁচশ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েন।
মোড়লগঞ্জ ও শরনখোলার চারটি ইউনিয়নের দু’হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন এবং মাছের ঘের ভেসে গেছে। মোংলা ও রামপাল উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা তাদের বেড়িবাঁধের আওতায় আনার দাবি জানান।
তৃতীয় দিনের মতো উচ্চ জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে সুন্দরবনের এলাকা ও করমজল কুমির প্রজনন কেন্দ্রটি । পূর্ব সুন্দরবনের করমজল কুমির প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, তিনদিন ধরে জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনের এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সুন্দরবনের প্রধান প্রধান নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট পানির উচ্চতায় বেড়েছে। কমরজলে পানির উচ্চতা ছিল চার ফুট। নদীতে পানি বাড়ায় সুন্দরবনের প্রাণিরা হুমকির মুখে পড়েছে। বনের বাঘ, শুকর, হরিণ, বানর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
বাগেরহাট কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় বাগেরহাটে রোববার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। জেলায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছেএবং ফকিরহাটে একদিনে সর্বোচ্চ ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি জমে বেশকিছু এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। তবে বৃষ্টিতে রোপা আমন ধানের উপকার হচ্ছে। ’
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, নদীতীর সংরক্ষণের কাজ চলতি অর্থ বছরে শুরু করা হবে।’
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে বাগেরহাট সদর, মোড়লগঞ্জ, রামপাল ও মোংলার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে কয়েকশ পরিবার সাময়িকভাবে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা তৈরি করতে স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া হবেতালিকা তৈরির পর ।
মাহফুজা ১৩-৯