এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে ১৫৫ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। এ জয়ের মধ্য দিয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করলো বাবর আজমরা।শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই উইকেটে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৮ রানে অল আউট হয় হংকং।
যে দল হারবে সে দলই চলতি আসর থেকে বিদায়। এমন সমিকরনের ম্যাচে পাকিস্তানের দেয়া পাকিস্তানের দেয়া ১৯৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৬ রানে সাজঘরে ফেরেন নিজাকাত খান।
এরপর পাকিস্তানের বোলারদের সামনে কোন ব্যাটসম্যানই দাঁড়াতে পারেনি। তাসের ঘরে মত ভেঙ্গে যায় হংকংয়ের ব্যাটিং লাইন। ব্যাট হাতে কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পারেননি । অধিনায়ক নিজাকাত খান সর্বোচ্চ ৮ রান করেন। দশ ওভার চার বলে ৩৮ রানে অল আউট হয় হংকং।
বল হাতে পাকিস্তানের শাদাব খান ২ ওভার ৪ বলে ৮ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। মোহাম্মদ নাওয়াজ ২ ওভার বল করে ৬ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া নাসিম শাহ ২ ওভার বল করে ৭ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। শাহনেওয়াজ ২ ওভার বল করে ১ মেডেনসহ ৭ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।
আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৩ রানে সাজঘরে ফেরেন বাবর আজম।সেখান থেকে ফাখর জামানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দলীয় ১২৯ রানে ফাখর জামান আউট হন।
একপাশ আগলে ছিলেন রিজওয়ান। দুই উইকেটে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান।রিজওয়ান ৭৮ ও খুশদিল শাহ ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এরপর রিজওয়ানের সঙ্গে এসে জুটি বাঁধেন খুশদীল শাহ। তারা দুজন অবিচ্ছিন্ন থেকে শেষ ২৩ বলে ৬৪ রান তোলেন। তার মধ্যে খুশদীলই তোলেন ৩৫ রান। বিশেষ করে শেষ ওভারে ৪ ছক্কায় ২৪ রান নেন। আর একটি ওয়াইড বলে চার হয়। তাতে শেষ ওভারে ২৯ রান পায় পাকিস্তান। আর দলীয় সংগ্রহ ১৬৪ থেকে হয়ে যায় ১৯৩!
এদিন ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। তিনি ৫৭ বল খেলে ৬টি চার ও ১ ছক্কায় ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
বল হাতে হংকং-এর এহসান খান ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।