২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    গলাচিপা ফেরিঘাটের পাবলিক টয়লেটে মৃত সন্তান জন্ম

    গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি  : পটুয়াখালীর গলাচিপা ফেরিঘাট সংলগ্ন পাবলিক টয়লেটের সামনে নবজাতকের জন্ম দিয়েছে এক প্রসূতি মা। তবে সন্তানটি মৃত অবস্থায় জন্ম নিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন সাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের ডাক্তারের স্ত্রী ও পল্লী চিকিৎসক এর অবহেলায় ওই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।

    বুধবার ২৭’জুলাই বিকেল ৩.৪৫ মিনিটের সময় গলাচিপা ফেরিঘাট সংলগ্ন পাবলিক টয়লেটের সামনে এক নবজাতকের জন্ম দেন মোসাঃ রিমা আক্তার (২২), রিমা চরমোন্তাজ ইউনিয়নের বউ বাজার এলাকার বাসিন্দা বিপ্লবের স্ত্রী। বর্তমানে ওই প্রসূতি মা রিমা আক্তার (২২) সুস্থ আছেন এবং তিনি বাড়িতে রয়েছেন।

    এবিষয়ে প্রসূতি রিমার স্বজনরা জানান, সকাল থেকে রিমার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে তাকে পটুয়াখালী সদর হসপিটালে নিয়ে আসতে চাইলে চরমোন্তাজ ইউনিয়ন সাস্থ্য ক্লিনিকের চিকিৎসক সমীর ভুইঁয়ার স্ত্রী লাবনী রানী প্রসূতি রিমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নরমাল ডেলিভারি করাবে বলে সর্ব প্রকার হাতুড়ে চেষ্টা করেন। প্রসূতির আত্মীয় স্বজনরা রিমার অবস্থা জটিল দেখে বার বার বলা সত্বেও লাবনী রানী প্রায় ৬ ঘন্টা যাবত তার চেষ্টা অবহৃত রাখেন।

    পরে সকল চেষ্টা শেষে দুপুর ১ টার সময় প্রসূতি রিমার মা জোরপূর্বক লাবনী রানীর কাছ থেকে প্রসূতি রিমাকে পটুয়াখালী সদর হসপিটালের উদ্দেশ্যে চরমোন্তাজ হইতে দ্রুত স্পীড বোডে গলাচিপা নিয়ে আসলে পথমধ্যে হরিদেবপুর ফেরিঘাটে প্রসব যন্ত্রনা বেড়ে যায়। এসময় পাবলিক টয়লেটে গেলে সেখানেই নবজাতকের জন্ম হয়। পরে স্থানীয় চিকিৎসক অনুতোষ দাসকে দেখালে নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।

    রিমার শাশুড়ি পারভিন বেগম জানান, গতকাল সকালে বাড়িতে বসে রিমার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। এ সময় স্বজনরা প্রথমে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক সবুজকে বাড়িতে নিয়ে আসে। সবুজ তার প্রেসার মেপে চিকিৎসা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে চলে আসেন।

    প্রসূতি রিমা আক্তার বলেন, হয়তো আমাকে বাড়ি থেকে নিয়ে না আসলে আমিও মারা যেতাম। আমার স্বজনরা বার বার লাবনী রানীকে চিকিৎসা বন্ধ করতে বলেছে। তারপরও তিনি জোর পূর্বক চিকিৎসা করেছেন।

    এবিষয়ে অভিযুক্ত লাবনী রানীর কাছে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমি মিডওয়েফারি প্রশিক্ষন প্রাপ্ত তবে এ রোগীর চিকিৎসা আমি দেইনি। পল্লী চিকিৎসক সবুজ ডাক্তার চিকিৎসা দিয়েছে, আমাকে তারা ডেকে নেয়ার পরে রোগীর অবস্থা দেখে তাকে পটুয়াখালী সদর হসপিটালে নিয়ে যেতে বলি সকল চিকিৎসা পল্লী চিকিৎসক সবুজ ডাক্তার করেছেন বলে জানান।

    এনিয়ে পল্লী চিকিৎসক সবুজ এর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি ব্যাস্ত, এব্যাপারে পরে কথা বললেন বলে দায় এরিয়ে ফোন কল কেটে দেন।

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর