দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা।।
পটুয়াখালীর দশমিনায় বানিজ্যিকভাবে গ্রীস্মকালীন তরমুজ চাষে সফল হয়েছে দুই যুবক। করোনাকালীন সময়ে বেকার হয়ে পড়া আর পৈতিৃক সূত্রে পাওয়া ২৪০ শতাংশ পতিত জমিতে ওই দুই যুবক গ্রীস্মকালীন তরমুজ চাষে চমক দেখালে জালাল ও জুয়েল আমিন।
মঙ্গলবার শেষ বিকালে কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহম্মেদকে সাথে নিয়ে উপজেলার ওই যুবকের তরমুজ খেত পরিদর্শন করেন পটুয়াখালীর উপ-পরিচালক কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর খামার বাড়ি মো. একেএম মহিউদ্দিন ও সহকারি কৃষি সম্প্রসার কর্মকর্তা দুলাল সরকারসহ আরো অনেকে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, দশমিনায় এ বছর ১০ একর জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজের চাষ হয়েছে। দেশে ও বিদেশে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ বারী-১ এবং বারী-২ জাতের ওই তরমুজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
উপজেলার কাটাখালী গ্রামের তরমুজ চাষি জালাল আকন ও জুয়েল আমীন বলেন, গ্রীষ্মকালীন তরমুচ চাষের জন্য ২৪০ শতাংশ পতিত জমিতে পাঁচ হাজার তরমুজ বিজ রোপণ করাসহ ফলন পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ করেছেন। আর প্রায়ায় ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করার আশা করি। তারা আরো বলেন, পৈতিৃক পতিত জমির তরমুজ বিক্রি করে করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে উঠা আর পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়ার ফলে সকালে ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে দুপুরে তরতাজা তরমুজ ঢাকায় পৌছানো হবে। এবং তাজা তরমুজের দামও ভালো পাবো।
এ বিষয়ে দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ বলেন, গ্রীস্মকালীন তরমুজ চাষে স্থানীয় যুবকদের উৎসাহসহ উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন তরমুজের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। পুরোপুরি সফলতা পেলে ব্যাপকভাবে দশমিনায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করা হবে।
দশমিনায় বর্ষাকালীন তরমুজ চাষে চমক
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন |
আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন |