ঘানায় প্রাণঘাতী মারবার্গ ভাইরাস এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ জন। আক্রান্ত ব্যাক্তি দুজন দক্ষিণাঞ্চলের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ মাসের শুরুতে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাদের দুজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরপরেই তাদের মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয় চিকিৎসকরা । সেনেগালের একটি ল্যাবরেটরিতেও নমুনা পরীক্ষা করলে সেখান থেকে রির্পোট পজিটিভ আসে।
আক্রান্ত ব্যাক্তির দুজনের সংস্পর্শে আসায় ৯৮ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এক বছরের ব্যবধানে এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো পশ্চিম আফ্রিকায় শনাক্ত হয়েছে মারবার্গের অস্তিত্ব ।
গেল বছর গিনিতে প্রথম মারবার্গ ভাইরাস শনাক্ত হয়। কিন্তু প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পাঁচ সপ্তাহ পর সেপ্টেম্বরেই এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শেষ হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও মারবার্গ ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় ঘানার প্রশংসা করেছে। এ বিষয়ে ঘানার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানায় সংস্থাটি।
এই ভাইরাসে নতুন মৃত্যু ঠেকাতে কন্টাক্ট ট্রেসিং এবং কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য বিষয়ক টিমগুলো দেশের নানা প্রান্তের কমিউনিটির কাছে গিয়ে এ বিষয়ে তাদের সচেতন করছে। মারবার্গের কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। তবে চিকিৎসকরাএ রোগে আক্রান্তদের প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন ।
২০০৫ সালে অ্যাঙ্গোলায় এই ভাইরাস ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ায় দুইশ মানুষ মানা যান। জার্মানিতে ১৯৬৭ সালে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয় । সে সময় দেশটিতে মারা যান সাত জন ।
মাহফুজা ১৯-৭