এক বছর ধরে মেরিনা খাতুনের সঙ্গে প্রেম করেন রাসেদুল। কিন্তু মেরিনা বিয়ের চাপ দিলে রাসেদুল পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে বিয়ে করার কখা বলেন। এতে এক কথা দুই কতায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মেরিনা। এক পর্যায় ধাক্কা দিয়ে রাসেদুলকে ফেলে দিয়ে শ্বাস রোধে করে হত্যা করে। পরে বান্ধবী নেশাকে ডেকে এনে মরদেহ ফেলে দেয়। এমনটাই জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল আলম । পুলিশ মেরিনা খাতুন ও নেশা খাতুন। তাদের বিরুদ্ধে রশিদুল মণ্ডল নামে যুবককে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল জানান, বুধবার ওই দুই তরুণীকে আটক করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যে সেদিনই রশিদুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার তাদের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয় কারাগারে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, রশিদুলের বাড়ি নওগাঁর নিয়ামতপুরের পয়লান গ্রামে। তিনি ছিলেন নির্মাণশ্রমিক। খুচরা কাজের খোঁজে তিনি প্রায়ই রাজশাহী মহানগরে আসতেন। প্রায় এক বছর আগে সেখানে মেরিনার সঙ্গে পরিচয় ও পরে প্রেমের সম্পর্ক হয়। মেরিনা মহানগরে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, গোপন সূত্রে একটি হত্যাকাণ্ডের খবর পায় মহানগর পুলিশ। নিহত ব্যক্তি রশিদুল বলে সূত্র জানায়। এরপর সন্দেহের ভিত্তিতে বুধবার মেরিনাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি রশিদুলকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। তার দেয়া তথ্যে সেদিনই রশিদুলের মরদেহ একটি বাড়ির স্টোররুম থেকে উদ্ধার করা হয় এবং গ্রেপ্তার করা হয় নেশাকে।
জিজ্ঞাসাবাদে মেরিনার দেয়া তথ্যের বরাতে ওসি জানান, গত মঙ্গলবার রাতে মহানগরের সায়েরগাছার একটি বাড়িতে রশিদুলকে ডেকে আনেন মেরিনা। তাকে বিয়ের জন্য বলেন। রশিদুল তাকে জানান যে তিনি পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে পরে জানাবেন। মেরিনা সে রাতেই বিয়ে করতে হবে বলে চাপ দিতে থাকেন। এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে রশিদুলকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। বুধবার ভোরে বান্ধবী নেশাকে ডেকে নিয়ে মরদেহ বাড়ির ছাদে স্টোররুমে রেখে দেন।