আজ অভিনেত্রী শাবানার জন্মদিন। তিনি ১৯৫২ সালের এ দিনে জন্মগ্রহণ করেন চট্টগ্রামের রাউজান এর ডাবুয়া গ্রামে । ঢাকার গেন্ডারিয়া হাই স্কুলে ভর্তি হলেও তার শিক্ষা জীবনের ইতি ঘটে মাত্র ৯ বছর বয়সে।
১৯৬২ সালে ‘নতুন সুর’ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী রত্মা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন । তালাশ’-সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় নৃত্যশিল্পী ও অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন। ‘আবার বনবাসে রূপবান’ ও ‘ডাক বাবু’তে দেখা যায় সহনায়িকা চরিত্রে ।
১৯৬৭ সালে রত্মা হয়ে যান শাবানা, এহতেশাম পরিচালিত ‘চকোরী’তে চিত্রনায়ক নাদিমের বিপরীতে নায়িকা হয়ে। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি । ব্যবসা সফল হয় ‘চকোরী’ । নির্মিত হয় বাংলা ও উর্দু ভাষায় ।
শাবানা দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন । স্বীকৃতি পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা। পেয়েছেন – প্রযোজক সমিতি পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার, আর্ট ফোরাম পুরস্কার, নাট্যসভা পুরস্কার, কামরুল হাসান পুরস্কার, নাট্য নিকেতন পুরস্কার, ললিতকলা একাডেমি পুরস্কার ও কথক একাডেমি পুরস্কার ।
‘ভাত দে’, ‘অবুঝ মন’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘সত্য মিথ্যা’, ‘রাঙা ভাবী’, ‘বাংলার নায়ক’, ‘ওরা এগারো জন’, ‘বিরোধ’, ‘আনাড়ি’, ‘সমাধান’, ‘জীবনসাথী’, ‘মাটির ঘর’, ‘লুটেরা’, ‘সখি তুমি কার’, ‘কেউ কারো নয়’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘স্বামী কেন আসামি’, ‘দুঃসাহস’, ‘পুত্রবধূ’, ‘আক্রোশ’ ও ‘চাঁপা ডাঙার বউ’ অভিনেত্রী শাবানার উল্লেখ্যযোগ্য ছবি । নাদিম, রাজ্জাক, আলমগীর, ফারুক, জসীম, সোহেল রানার সঙ্গে জুটি বেঁধে তিন দশকের ক্যারিয়ারে শাবানা উপহার দেন জনপ্রিয় অনেক ছবি।
শাবানা ১৯৭৩ সালে বিয়ে করেন সরকারি কর্মকর্তা ওয়াহিদ সাদিককে। প্রতিষ্ঠা করেন প্রযোজনা সংস্থা এসএস প্রোডাকশন। ২০০০ সাল থেকে শাবানা সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে করছেন বসবাস । বেশ কয়েকবার দেশে আসলেও জনসম্মুখে দেখা যায়নি তাকে। ১৯৯৭ সালে হঠাৎই বিদায় নেন অভিনেত্রী শাবানা । চলচ্চিত্র থেকে সরে যান কি কারণে তা আজো অজানা ।
মাহফুজা ১৫
‘