দুই দলই জেনে গেছে, টেস্টের ফল হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। এই টেস্টের ফল নিশ্চিত ড্র। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। অস্ট্রেলিয়ান বোলিংয়ের সামনে পরের টেস্টের জন্য দু’জনই নিজেদের ভালোভাবে ঝালিয়ে নিচ্ছেন।
পাকিস্তানের দুই ওপেনিং ব্যাটার আবদুল্লাহ শফিক এবং ইমাম-উল হক মিলে করলেন জোড়া সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের উইনেট না দেয়ার পণ করে নিয়েছেন সম্ভবত তারা। যে কারণে উদ্বোধনী জুটিতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা তুলেছেন ২৪৯ রান। লিড দাঁড়িয়েছে তাদের ২৬৬ রানের। ১৩৪ রানে আবদুল্লাহ শফিক এবং ১১০ রানে ব্যাট করছিলেন ইমাম-উল হক।
এরমধ্যে ইমাম-উল হক আবার উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেন। আগের ১১ টেস্টে যিনি একটি সেঞ্চুরিও করতে পারলেন না, ১২তম টেস্টে এসে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে ফেললেন। ঘরের মাঠের আলো-বাতাস পেয়ে তরতরিয়ে একই টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করলেন তিনি। একেই বলে স্বাগতিক হওয়ার ভাগ্য!
প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজলউড, নাথান লিওন, মার্নাস ল্যাবুশেন, ট্রাভিস হেড, স্টিভেন স্মিথ কিংভা ক্যামেরন গ্রিন- মোট ৯জন বোলার। পুরো দলের কাকে ব্যবহার করতে ভুলেছেন অধিনায়ক কামিন্স! ডেভিড ওয়ার্নার আর উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারে- দুই নিরেট ব্যাটারছাড়া বাকি সবাই বল করলেন। কিন্তু পাকিস্তানি দুই ওপেনারের জোড় ভাঙতে পারলেন কই!
প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটে ৪৭৬ রান করেছিল পাকিস্তান। ইমাম-উল হক খেলেছিলেন ১৫৭ রানের ইনিংস। আজহার আলি খেলেছিলেন ১৮৫ রানের ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভালোই জবাব দিচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ দিন শেষেও তাদের রান ছিল ৭ উইকেটে ৪৪৯। ২৭ রান পিছিয়ে ছিলো কেবল তারা।
কিন্তু পঞ্চম দিন সাত সকালে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি পেসার এবং স্পিনারদের সামনে বাকি তিন উইকেট পড়তে লেগেছে কেবল ১০ রান। নৌমান আলি ২টি এবং শাহিন আফ্রিদি নিলেন এক উইকেট। ৪৫৯ রানে অলআউট অস্ট্রেলিয়া।
১৭ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। দিনের খেলা আর মাত্র ১৬ ওভার বাকি। অস্ট্রেলিয়ান ফিল্ডারদের ফিল্ডিং করেই হয়তো ক্ষান্ত দেবে পাকিস্তানী দুই ওপেনার।