২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    সিরিজ জয় টাইগারদের , আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের শীর্ষে বাংলাদেশ

    আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে  ৮৮ রানে জয়  পেয়েছে বাংলাদেশ। এ জয়ের মধ্য দিয়ে ২-০ সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা।শুধু সিরিজ জয় নয় এ জয়ের মধ্যদিয়ে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের শীর্ষে উঠলো টাইগাররা। বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি সফরকারীদের। দলীয় ৯ রানে রিয়াজ হাসান সাজঘরে ফেরেন। এর সাত রান পরই একই পথে হাটেন অধিনায়ক  হাসমতুল্লাহ শহীদি। দলীয় ৩৪ রানে তিন উইকেট হারানো  দলের হাল ধরেন রহমত শাহ ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। তাসকিন জাদরানকে ফেরালে স্বস্তি ফেরে টাইগার শিবিরে।এরপর মোহাম্মদ নবী দলের হাল ধরতে চাইলেও  মেহেদী হাসান মিরাজ তা হতে দেননি। আর রাশিদ খানকে ফেরালেন মোস্তাফিজুর রহমান। শেষ পর‌্যন্ত ৪৫ ওভার এক বলে ২১৮ রানে অল আউট হয় আফগানিস্তান।  এর মধ্যদিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয় টাইগারদের।

    চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ।ফজল হক ফারুকির করা তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বল লাগে লিটন দাসের পায়ে। জোরালো আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নেয় আফগানিস্তান। কোনো লাভ হয়নি, বল লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে পিচিং হওয়াতে রিভিউ হারায় আফগানিস্তান। বেঁচে যান লিটন।

    ইনিংসের শুরু থেকে আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল তামিম ইকবালকে। দ্বিতীয় ওভারেই দুই চারে দেখিয়েছিলেন সম্ভাবনা। কিন্তু বেশিদূর লম্বা হয়নি অধিনায়কের ইনিংস। ফারুকির করা সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বল লাগে তামিমের পায়ে, জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেন তামিম, কিন্তু তার পক্ষে যায়নি। ২৪ বলে ১২ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। এর মধ্য দিয়ে তামিম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার এলবিডব্লিউ হওয়ার রেকর্ড গড়েন! তিনি এই নিয়ে ২০ বার আউট হয়েছেন। তার পরে আছেন মুশফিকুর রহিম, তিনি আউট হয়েছেন ১৭বার।

    তামিম ইকবালকে হারানোর পর জুটি বাধেন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। দুজনের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে প্রতিরোধ গড়ার আভাস দেয় বাংলাদেশ। স্ট্রাইক রোটেট করে খেলায় ছিল দুজনের নজর। কিন্তু রশিদ খানের আঘাতে ভেঙে যায় ৫৩ বলে ৪৫ রানের জুটি। তার লেন্থ বল সাকিবের ব্যাট মিস করে লাগে পায়ে। ২ চারে ৩৬ বলে ২০ রান করেন সাকিব। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।

    রশিদ খানের করা বিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে থার্ডম্যান অঞ্চল দিয়ে চার হাঁকান মুশফিকুর রহিম। পরের বলে লং অনে ঠেলে দিয়ে লিটন দাসকে স্ট্রাইক দেন। লিটন স্ট্রাইক পেয়েই মিডউইকেটে দৃষ্টিনন্দন শটে পাঠিয়ে দেন বাউন্ডারির বাইরে। বাংলাদেশ পৌঁছে যায় তিন অঙ্কের ঘরে। ১৯.৪ ওভারে পূর্ণ করে দলীয় শতরান।

    এর আগে মোহাম্মদ নবীকে চার মেরে ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন লিটন দাস। এবার রশিদকে চার মেরে হাফ সেঞ্চুরি করলেন মুশফিকুর রহিম। ৩৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সুইপ করে মিড উইকেটে চার হাঁকিয়ে ৫৬ বলে ফিফটি করেন মুশফিক। তার ইনিংসে চারের মার ছিল ৬টি। এটি তার ক্যারিয়ারের ৪১তম অর্ধশতক।

    ওপেনিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন লিটন দাস। রশিদ খানকে চার মেরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরির দেখা পান এই ডানহাতি ওপেনার। ১০৭ বলে ১৪ চারে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন লিটন। এর আগে ৬৫ বলে দেখা পেয়েছিলেন অর্ধশতকের। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে বড় সংগ্রহের পথে রয়েছে বাংলাদেশ। মুশফিক-লিটন জুটির সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের দুইশ

    দারুণ এক ইনিংস খেলে বিদায় নিলেন লিটন দাস। তার ব্যাট থেকে আসে ১২৬ বলে ১৩৬ রান। ইনিংসে চারের মার ছিল ১৬টি আর ছয়ের মার ২টি।ফরিদ রহমানের স্লো বলে স্ট্রেট ডিপ স্কয়ার লেগে মুজিব উর রহমানের ক্যাচ হন তিনি। তাদের জুটি ছিল ২০২ রানের। যেটি তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড জুটি। পরের বলেই বিদায় নেন মুশফিকুর রহিম। ফজলহক ফারুকির ক্যাচ হন তিনি ৮৬ রান করে। লিটনের মতো সেঞ্চুরির পথে ছিলেন মুশফিকও। কিন্তু তাকে থামতে হয় ১৪ রান দূরে। ফরিদকে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন থার্ডম্যান অঞ্চলে ফারুকির হাতে। তার ইনিংসে চারের মার ছিল ৯টি।

    আর কোন উইকেট না হারিয়ে  নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩০৬ রান করে নতুর রেবর্ড গড়লো বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহ ৬ আফিফ হোসেন ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর