১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    নড়াইলবাসী লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করলো

    নড়াইলপ্রতিনিধি :অন্ধকার থেকে ম্ক্তু করুক একুশের আলো’ এই শ্লে¬াগান নিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও লাখো মোমবাতি জ্বেলে ভাষা শহীদদের স্মরণ করলো নড়াইলবাসী।  সোমবার সন্ধ্যায় নড়াইলের সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের কুড়িরডোব মাঠে ভাষা শহীদদের স্মরণে প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে এক লাখ মঙ্গল প্রদীপ। একইসাথে ভাষা দিবসের ৭১ তম বার্ষিকীতে ৭১টি ফানুষ ওড়ানো হলো। নড়াইল একুশের আলো উদযাপন পর্ষদ-২০২১ একুশের ভাষা শহীদদের স্মরনে রবিবার ২১শে’র সন্ধ্যায় এ মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

    একুশ আলো উদ্যাপন পর্ষদের আয়োজনে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। একুশের আলো উদ্যাপন পর্ষদের সহ-সভাপতি অ্যাডঃ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রবিউল ইসলাম, নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা, নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজার পিতা গোলাম মুর্তজা স্বপন, উদ্যাপন পর্ষদের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মলয় কুন্ডু, আব্দুর রশিদ মন্নু  প্রমুখ। ৬ টা ২০ মিনিটে লাখো মোমবাতি জ্বেলে ওঠে। কুরিরডোব মাঠে এ সময় ‘আমার ভায়ের রক্ত রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ১ঘন্টাব্যাপি গণসংগীত শুরু হয়। এবার মাঠে শহীদ মিনার, বাংলা বর্ণমালা ও বিভিন্ন ধরনের আল্পনা তুলে ধরা হয়। সন্ধ্যার পূর্বে মোমবাতি প্রজ্জলনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক হাজার হাজার শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি মাছরাঙ্গা টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করে। প্রসঙ্গত, মুজিববর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং ভাষা শহীদদের স্মরণে শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) নড়াইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে এই কুরিরডোব মাঠ প্রাঙ্গণ পর্যন্ত চিত্রশিল্পীরা একটানা পথচিত্র অংকন করেন।

    জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী থেকে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলের ৬ একরের বিশাল কুরিরডোব মাঠে সন্ধ্যায় ভাষা শহীদদের স্মরণে লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষাশহীদদের স্মরনে ব্যতিক্রমি এ আয়োজনটি শুরু হয়। এ আয়োজন সফল করতে  ১মাস পূর্ব থেকে সাংস্কৃতিক কর্মী, সেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক কাজ শুরু করেন। তিন শতাধিক পুলিশ ও সেচ্ছাসেবক মাঠের চারপার্শ্বের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষা করে থাকেন।

    একুশের আলো উদযাপন পর্ষদের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মলয় কুন্ডু বলেন, এবার সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠে কোনো দর্শক শ্রোতা না রেখে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। অনুষ্ঠানটি সফল করতে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা করে।

     

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর