৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

    সর্বশেষ খবর

    ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে শীত ও হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত উত্তরের জনজীবন

    উত্তরের জনজীবন ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে শীত ও হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নতুন বছরের এ সপ্তাহজুড়েই উত্তরাঞ্চলে মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

    মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার রংপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকালের চেয়ে শূন্য দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।

    এবারের শীতে এরই মধ্যে গত তিনদিন থেকে প্রথম দফায় উত্তরাঞ্চলে শৈত্য প্রবাহ চলছে বলে জানিয়েছেন রংপুর আবহাওয়া অফিস। গত দুইদিন থেকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় তীব্র হয়ে উঠেছে কনকনে শীত।  বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম।

    আবহাওয়া অফিস বলছে, শীতের এ তীব্রতা দুই এক দিনের মধ্যে আরও বাড়তে পারে।

    এদিকে ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীত চেপে বসেছে তিস্তা, ঘাঘট, দুধকুমার, যমুনেশ্বরী ও করতোয়া নদী বেষ্টিত এলাকাগুলোতে। নদী তীরবর্তী বেশির ভাগ এলাকার মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। শীতের এই হানায় প্রভাব ফেলেছে কৃষকের ধানের বীজতলাতেও। হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতা অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।

    বাড়তে শুরু করেছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন এরা। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি

    রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ডিসেম্বরের শেষে উত্তরাঞ্চলে শৈত্য প্রবাহ শুরু হয়েছে। এর সাথে শীতের তীব্রতাও খুব বেড়েছে। এই অঞ্চলে গত তিন চার দিন থেকে তাপমাত্রা ১০-১১ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। দিনে ও রাতের তাপমাত্রা কাছাকাছি হওয়ায় এ অঞ্চলে ঘনকুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়াসহ শৈত্য প্রবাহ আরও তীব্র হতে পারে। তবে এই তাপমাত্রা আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে কিছুটা উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গত কয়েক দিন ধরেই তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। অব্যাহত এই শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে পুরো জেলা। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে আবারও বাড়ছে শীত।

    এদিকে ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগে রয়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। হাড় কাঁপানো শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। অনেকেই ছুটছেন ফুটপাতে গরম কাপড়ের খোঁজে। যানবাহনগুলোকে সকালের দিকেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে।

    পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ  জানান, পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    মাহফুজা ৩-১

     

    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

    Latest Posts

    spot_imgspot_img

    আলোচিত খবর