রাজধানীর পল্লবীতে স্কুলছাত্র মেহেদী হাসান হত্যা মামলায় আদালতআটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন । পাশাপাশি তাদের ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মেহেদী হত্যা মামলার আসামি শাহিনুর বেগম ও নান্নু মিয়াকে খালাস দেয়া হয়।
মঙ্গলবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখার এ রায় ঘোষণা করেন। আট আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হয়এবং তাদের অপরাধ ও বয়স বিবেচনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হলো বলে জানান বিচারক ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ফয়সাল, আশিক, রাসেল, ওলি, সাদ্দাম, রাব্বি ওরফে ছটু, ইমরান ও রাশিদ। রায় ঘোষণার সময় এই আট আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়।
রোববার এই রায় ঘোষণার কথা থাকলেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক তেহসিন ইফতেখার রায়ের জন্য নতুন দিন ঠিক করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রায় দেয়া হয়।
২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মেহেদীকে ডেকে পাশের একটি ভবনে নিয়ে যান আসামি ওলি। মেহেদীর ভাগনে অনিক ঘটনাটি দেখতে পেয়ে সবাইকে জানান। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান মেহেদী অচেতন অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে মিরপুরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মেহেদীর বাবা মোশারফ ১ অক্টোবর পল্লবী থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, মাদক কারবারের প্রতিবাদ করায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে তার ছেলেকে মারধর করে হত্যা করে।
সিআইডির পরিদর্শক মোকছেদুর রহমান মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১২ জুন ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন । ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলায় আদালত ২৫ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
মাহফুজা ১-১১